কর্মী সমর্থক নিয়ে বেশ শক্তিশালী অবস্থানে রাজপথে দলীয় কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির একাংশ। কেন্দ্রীয় ঘোষিত কমিটিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সাখাওয়াত ও টিপুর নেতৃত্বকে বয়কট করে নিজেদের শক্তিশালী সংগঠক হিসেবে ইতিমধ্যেই রাজপথে বারংবার প্রমান দিয়েছেন আতাউর রহমান মুকুল। মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপািত ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুলের নেতৃত্বে সিনিয়র নেতৃবৃন্দরা সংগঠনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বেশ কায়দা করে মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। আটককৃত নেতাদের পরিবারের খোজ খবর নেয়ার পাশাপাশি তাদের জামিনের জন্য আইনী লড়াইয়ের যাবতীয় দায়িত্ব নিয়েছেন সিনিয়র নেতাদের কাঁধে।
এদিকে, মহানগর বিএনপির কমিটি ঘোষণা করার পর থেকে এ্যাড. সাখাওয়াত ও টিপুর নেতৃত্বকে বয়কট করে হেভীওয়েট সিনিয়র ১৫ নেতার সাথে যুক্ত হয়েছেন বর্তমান কমিটির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক এ্যাড. জাকির হোসেন।
এরফলে দলীয় কর্মসূচি গুলোতে মূলধারারা রাজনীতিকে পাশ কাটিয়ে হাজারো নেতাদের নিয়ে রাজপথে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করে নিয়েছেন তারা।
অন্যদিকে, দিন যতই যাচ্ছে ততই এ্যাড. সাখাওয়াত ও টিপুর নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের অংশগ্রহনের সংখ্যা সীমিত হতে শুরু করেছে। যার ফলশ্রুতিতে সাখাওয়াত ও টিপুর নেতৃত্ব এখন কর্মী সংকটের কারনে অস্তিত্বহীনতা ভুগছে বলে দাবি মহানগর বিএনপির তৃণমূলের। এখন মহানগর যুবদলের উপর ভর করে মাঠে রাজনীতিতে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন দুই নেতা।
অপরদিকে, বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে রাজনীতি করে আশা অধিকাংশ সিনিয়র নেতাই সাখাওয়াত ও টিপুর নেতৃত্বকে বয়কট করে আলাদা ব্যানারে নিজেদের সাংগঠনিক দক্ষতার জানান দিতে একটুও কৃপণতা করেননি। উল্টো বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মরহুম জালাল হাজী পরিবারের সদস্য মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল ও মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবুল কাউছার আশার হাতকে করার জন্য তাদের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন।
এদিকে এ্যাড. সাখাওয়াত ও টিপুর নেতৃত্বকে বয়কট করে হাতে হাত মিলিয়ে দলীয় কর্মসূচি থেকে শুরু করে সাংগঠনিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক এ্যাড. জাকির হোসেন, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, সাবেক সহ-সভাপতি ও বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি হাজী নুরুউদ্দিন আহম্মেদ,
সাবেক সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম মজনু, সাবেক সহ-সভাপতি হাজী ফারুক হোসেন, সাবেক সহ-সভাপতি এ্যাড. রিয়াজুল ইসলাম আজাদ, সাবেক সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কাউছার আশা, মহানগর বিএনপির সাবেক যুব – বিষয়ক সম্পাদক মনোয়ার হোসেন শোখন, সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সরকার আলম,
বন্দর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. বিল্লাল হোসেন, সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুর ইসলাম মিঠু, সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকার, কাউন্সিলর সুলতান আহম্মেদ, মহানগর বিএনপি নেতা আলমগীর হোসেন, শহীদুল ইসলাম রিপন, সাফী আহম্মেদ, আল মামুন, আবুল হোসেন সরদার, মোহাম্মদ হোসেন কাজল এবং মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ও ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ সহ তাদের কর্মী সমর্থকরা।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর মহানগর বিএনপি আংশিক ৪১ সদস্য আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করার পর থেকে মহানগর বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় অধিকাংশ নেতৃবৃন্দ সাখাওয়াত ও টিপুর নেতৃত্বকে বয়কট করার পর, কমিটির দীর্ঘ তালিকা স্বল্প হতে শুরু করেছে। হেভীওয়েট ১৫ নেতা কমিটির নেতৃত্ব বয়কট করার পর বাকি ২৬ নেতাদের মধ্যেও কর্মসূচিতে তাদের উপস্থিতি অর্ধেকে নেমে এসেছে বলে দাবি করেন বিএনপির নেতা ও কর্মীরা।