সাজু হোসেন: গভীর রাতে গাড়িভর্তি কম্বল নিয়ে শীতার্তদের পাশে দাঁড়ালেন প্রয়াত সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধ আলহাজ্ব নাসিম ওসমানের পুত্র আলহাজ্ব আজমেরী ওসমান ও তার সহধর্মীনি সাবরীনা ওসমান জয়া।
রোববার (০৮ জানুয়ারি) ভোর রাতে সবাই যখন ঘুমে বিভোর তখন কলেজ রোড বাসা থেকে সাদামাটা পোশাকে গাড়ি নিয়ে বের হন তারা। গাড়িভর্তি কম্বল নিয়ে চুপচাপ চলে গেলেন চাষাঢ়া রেলস্টেশনে।
বাতাস থেকে তখন ঝেঁকে আসছে শীত। স্টেশনে জুবুথুবু হয়ে ঘুমাচ্ছে কিছু বৃদ্ধ। গাড়ি থেকে নেমে কম্বল হাতে একে একে জড়িয়ে দিতে থাকলেন মানুষগুলোকে।
একটু উঞ্চতা পেয়ে জেগে উঠলেন কেউ কেউ। বিস্ময় ভরা চোঁখে তাকিয়ে দেখলেন কম্বল জড়িয়ে দেয়া মানুষটি আর কেউ নয়, তিনি হলেন প্রয়াত জননন্দিত নেতা নাসিম ওসমানের সুযোগ্য সন্তান আজমেরী ওসমান। এ সময় বৃদ্ধদের কেউ কেউ হাত বাড়িয়ে আশীর্বাদ করলেন। বিনয়ের সঙ্গে আজমেরী ওসমান তাদের কাছে দোয়া চাইলেন।
আজমেরী ওসমানের ব্যক্তিগত উদ্যোগে চাষাঢ়া রেলস্টেশন, খানপুর, ১নং রেলস্টেশসহ বিভিন্ন এলাকায় ফুটপাতে শুয়ে থাকা শীতার্তদের মাঝে এ কম্বল বিতরণ করা হয়।
এ বিষয়ে আজমেরী ওসমান বলেন, সারাদেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জেও তীব্র শীত চলছে। শীতে যারা রাস্তায় রাস্তায় কষ্ট করছে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। আমি আমার সাধ্যমত এ শীতার্তদের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করছি। সামনের দিনগুলোতেও এ শীতার্তদের মাঝে উঞ্চতা বিলিয়ে দিতে আরো কাজ করবো।
তিনি আরও বলেন, ভুলে গেলে চলবেনা, এ অসহায় মানুষগুলোও কিন্তু আমাদের তথা এ সমাজের। এ শীতে আমরা থাকতে তারা কষ্ট করবে, এটা আসলে ঠিক নয়। আমাদের উচিৎ তাদের পাশে দাঁড়ানো। তাই সমাজে যারা বিত্তবান আছেন, এ অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমি বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।
এসময় অন্যান্যদের মাঝে আরও উপস্থিত ছিলেন, সাবেক কমিশনার আজহারুল ইসলাম, জাপা নেতা আলী হায়দার শামীম, নীট কনর্সানের কর্ণধার মনির হোসেন মোল্লা, খাইরুল ইসলাম, নাসির, দীপু, রকমত উল্লাহ্ প্রমূখ।