হাজী আহমেদ তুষার মাঈন উদ্দিন। কলাগাছিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। বর্তমানে তিনি এই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ প্রার্থী। ১৯৯৬ সালে সরকারি তোলারাম কলেজে একাদশ শ্রেণীতে লেখাপড়া অবস্থায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সর্ম্পৃক্ত হন তিনি। ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে শুরু করে বর্তমান সময়েও আওয়ামী লীগের সকল আন্দোলন-সংগ্রাম ও যেকোন কর্মসূচিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে চলেছেন তিনি। এ আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে তিনি বহুবার শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়েও কখনো এ দলের আদর্শ থেকে বিচ্যুৎ হননি। বরং আন্দোলনের পরিধি আরও বাড়িয়ে দিয়ে দলকে আলোর মুখ দেখাতে সাহায্য করেছেন।
আহমেদ তুষার বর্তমানে আওয়ামী লীগের রাজনীতির পাশাপাশি চেষ্টা করছেন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। সেই লক্ষ্যে তার ইউনিয়নের প্রতি ওয়ার্ডে গরিব-দু:খী মানুষের জন্য একটি করে ফান্ড তৈরির করার চেষ্টা করছেন। যে ফান্ডের অর্থ দিয়ে গরিব-দু:খী মানুষকে সাহায্য সহযোগীতা করতে পারবেন এবং তাদের মুখে হাসি ফোটাতে পারবেন। সেই পরিকল্পনাসহ নানা বিষয় নিয়ে আহমেদ তুষারের সাথে কথা হয় গণমাধ্যমকর্মীদের।
গণমাধ্যমকর্মীদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মূল উদ্দেশ্যই হলো মানুষের পাশে দাঁড়ানো। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এ আওয়ামী লীগ জুলুমের বিরুদ্ধে কথা বলেছে, নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। শুধুতাই নয়, মহান মুক্তিযুদ্ধে এ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে। দেশের জন্য আওয়ামী লীগের যে অবদান, অন্যকোন সংগঠনের তেমন অবদান নেই। আমি দেশকে মনেপ্রাণে ভালোবাসি। আর সেই ভালোবাসা থেকেই আওয়ামী লীগের সাথে যুক্ত হয়েছি এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সাথেই থাকবো, ইনশাআল্লাহ্।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ খুব পুরানো একটা সংগঠন এবং বর্তমানে এ সংগঠনটা আগের থেকে বেশি শক্তিশালী। কিন্তু বিগত নির্বাচনগুলোতে দেখলাম আমাদের এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের এমন ভরাডুবি। আসলে এগুলো আমাকে বেশি ব্যথিত করছে। এটাতো একটা জনবান্ধব সংগঠন, মানুষের কল্যানে কাজ করে, দেশের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। তাহলে এখানে কেন আওয়ামী লীগের এমন অবস্থা? এ পরাজয়ই কিন্তু প্রমাণ করে এখানে আওয়ামী লীগ জনবান্ধব ছিলোনা, জনমুখী ছিলোনা। এজন্যই মূলত আমার নেতৃত্বে আসার ইচ্ছা। আমি নেতৃত্বে আসলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক হয়ে ও জননেতা একেএম শামীম ওসমান ভাইয়ের একজন কর্মী হয়ে ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়নে কাজ করবো। পাশাপাশি সকল মুরুব্বীদের নিয়ে এবং রশিদ ভাই ও কাজিম ভাইয়ের দিকনির্দেশনায় এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগকে আরও বেশি শক্তিশালী করে গড়ে তোলার চেষ্টা করবো। এ জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ কার্যালয় করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা আমি গ্রহণ করেছি। আল্লাহ্’র চাইলে আমি সভাপতি হলে এ কাজগুলো করবো।
তিনি বলেন, আমি কলাগাছিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক থাকা অবস্থায়ও চেষ্টা করেছি তৃণমূলের পাশে দাঁড়ানোর। এখনও সেই চেষ্টায়ই করে চলেছি। আমি নেতৃত্বে আসি আর না আসি আমার মূল উদ্দেশ্যেই হলো তৃণমূলকে মূল্যায়ন করা। শুধু তৃণমূলই নয়, আমি চাই সকল গরিব-দু:খী মানুষের পাশে দাঁড়াতে। তাই ইতিমধ্যে আমি আমার ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে ফান্ড তৈরির কাজ করছি। এ ফান্ড তৈরি হলে সেই অর্থ দিয়ে গরিব দু:খী মানুষের যেকোন বিপদে আপদে তাদের পাশে দাঁড়াতো পারবো।
কাউন্সিলর ও তৃণমূলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা সবাই বিবেকবান। তাই আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে, আপনারা একটু বিবেক খাটিয়ে দেখবেন কাকে দিয়ে দল উপকৃত হবে, কাকে দিয়ে কাজ করানো সম্ভব আর কাকে দিয়ে আপনাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা সম্ভব। এসব কিছু মাথায় রেখে আপনারা সিদ্ধান্ত নিবেন। আর নেতৃত্ব আল্লাহ্’র দয়া ছাড়া হয়না। আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, আল্লাহ্ যেন আমাকে কবুল করেন।