হাজী মোহাম্মদ আল আমিন। কাশিপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তিনি। ১৯৯৬ সালে নারায়ণগঞ্জের সিংহপুরুষ খ্যাত প্রভাবশালী এমপি শামীম ওসমানের সহধর্মীনি সালমা ওসমান লিপির স্নেহে মুগ্ধ হয়ে রাজনীতিতে আসেন তিনি। পরে ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকাকালিন শামীম ওসমান বিদেশ থাকা অবস্থায় একটি অনুষ্ঠানে মোবাইল ফোনে বক্তব্য শেষে তাকে কাশিপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। ছাত্রলীগের দায়িত্বে থাকাকালিন সময়ে ক্ষমতাসীনদের বার বার নানা ষড়যন্ত্র, হামলা ও নির্যাতনের শিকার হন তিনি। কিন্তু তবুও তিনি কখনো দল ছেড়ে যান নি। সেই নির্যাতিত ত্যাগী নেতা হাজী মোহাম্মদ আল আমিনের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন আমাদের বিশেষ প্রতিনিধি।
প্রথমেই ‘উন্নয়ন অগ্রগতির কারণেই আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসবে’ বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননত্রেী শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল নজির স্থাপন করবেন। কেননা, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ সবসূচকে এগিয়ে যাচ্ছে। কোনো ষড়যন্ত্রই এ অগ্রগতিকে ব্যাহত করতে পারবে না।
তিনি বলেন, আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই আমাদের প্রাণপ্রিয় চেয়ারম্যান ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ্ বাদল আমাদের কাশিপুরে এত উন্নয়ন করতে পেরেছেন। এখানে স্কুল কলেজ রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে মসজিদ মন্দিরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। এই কাশিপুরে ৫০ বছরের মধ্যে কোন চেয়ারম্যান যা করতে পারেনি, এম সাইফউল্লাহ্ বাদল তার চাইতেও বেশি উন্নয়ন করে দেখিয়েছেন। এবং তা সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার কারণে। সুতরাং শেখ হাসিনা যে দলকে লালন পালন করবে, সে দল ক্ষমতা হারা হবে সেটা আমরা কল্পনাতেও বিশ্বাস করি না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অত্যান্ত আস্থাভাজন স্নেহভাজন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জননেতা একেএম শামীম ওসমান ভাইয়ের দিকনির্দেশায় আমার রাজনৈতিক শিক্ষাগুরু এম সাইফউল্লাহ্ বাদল ভাইদের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ফতুল্লা আওয়ামী লীগের শক্তিশালী ঘাটিতে পরিনত হয়েছে। এ বয়সেও এম সাইফউল্লাহ্ বাদল ভাইয়ের সাংগঠনিক তৎপরতা সত্যিই প্রশংসনীয়। দলকে আরও বেশি শক্তিশালী করার লক্ষে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। তার মত একজন রাজনৈতিক নেতা পেয়ে আমরা বিশেষ করে কাশিপুরবাসী সত্যিই গর্বিত।
কার অনুপ্রেরণায় রাজনীতিতে আসা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, আমি ১৯৯৬ সালে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জননেতা একেএম শামীম ওসমানের সহধর্মীনি সালমা ওসমান লিপি ভাবিকে দেখে আমি রাজনীতিতে পর্দাপন করি। সে সময়ে লিপি ভাবি একটি অনুষ্ঠানে আমার মাথায় হাত রেখে বলেছিলেন, আমিই তোমার আব্বু আমিই তোমার আম্মু। যেহেতু আমার মা -বাবা ছিলো না, তখন তার এ কথা শুনে আমার ভিতরে রাজনীতি করার মনবাসনা সৃষ্টি হয়। এবং ধাপে ধাপে আমি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ি। পরে শামীম ওসমান ভাই যখন দেশের বাহিরে ছিলো, তখন আমাদের এখানে একটি অনুষ্ঠানে তিনি মোবাইলে ভাষণ দিয়েছিলেন। সেই অনুষ্ঠানে তিনি কাশিপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে আমার নাম ঘোষনা করেন। সেই থেকে আজ পর্যন্ত শামীম ওসমান ভাই ও সাইফউল্লাহ্ ভাইয়ের নির্দেশে মাঠে আছি। বর্তমানে আমাকে এই ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আমি আমার সেই দায়িত্বও সঠিক ভাবে পালন করার চেষ্টা করছি।
রাজনীতি করার উদ্দেশ্য প্রকাশ করে তিনি বলেন, আসলে আমি দেখেছি কোন সংগঠন ছাড়া মানুষের অধিকার আদায় করা যায় না। আর আমার ছোট বেলা থেকেই মানুষের জন্য কিছু করার ইচ্ছা ছিলো। কিন্তু সেই ক্ষমতা ও সুযোগ ছিলো না। তাই মনে মনে এমন একটা সংগঠন খুঁজতে থাকি, যে সংগঠনের মূল উদ্দেশ্যই থাকবে জনকল্যানে কাজ করা। আমি সেখানে দেখলাম, আওয়ামী লীগের জন্মই হয়েছে জনকল্যাণের জন্য। তাই মানুষের কল্যানে কাজ করার লক্ষ্য নিয়েই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সর্ম্পৃক্ত হই।
তৃণমূলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমি ছাত্রলীগ থেকেই সব সময় তৃণমূলের পাশে থেকেছি। যেহেতু আজ আমি কাশিপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি। আমি আমার সেক্রেটারীকে নিয়ে ৯টি ওয়ার্ড গোছানোর কাজ করছি। সামনের সপ্তাহ থেকে কমিটি দেয়া শুরু করবো। এ কমিটিগুলোতে রাজপথে যারা ছিলো, এখনও আছে সেই সব সাহসী ও ত্যাগী নেতাদের অগ্রাধীকার দেয়া হচ্ছে।