নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম ওসমান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তরুণ জন্মের ভবিষ্যৎ নিয়ে কাজ করছেন। যার বাবা-মাসহ পরিবারের সবাইকে আমরা মেরে ফেলেছি।যারা হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান তাদের সবাইকে একটা কথা বলতে চাই, তোমরা ধর্মটাকে সম্মান করো। ধর্মটাকে নিয়া লেখাপড়া করো। পৃথিবীতে একটাই সত্য আমাদের সবাইকে একদিন না একদিন যেতে হবে। যে সন্তানের ওপর বাবা-মায়ের দোয়া থাকে সে কোনোদিন কখনো কোনো কিছুতে আটকায় না। আমি তোমাদের একটা কথাই বলব, তোমরা ভালো মানুষ হও। ভালো মানুষ হয় দেশের জন্য একটা হলেও ভালো কাজ করো। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে রজত জয়ন্তী ও পুনর্মিলনী উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, ধর্মটাকে সম্মান করো। ধর্ম নিয়ে লেখাপড়া করো। আরেকটা ব্যাপার হল যাদের মা-বাবা আছে, চেষ্টা করো ছোট ছোট জিনিস দিয়ে তাদের খুশি রাখতে। এটাই হবে তোমাদের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। আমার বাবা-মা নেই। এই অনুভূতি কত কষ্টের এটা যাদের নেই, শুধু তারাই বোঝে। আর দেশের জন্য অন্তত একটি ভাল কাজ করো। একজন নারী যার বাবা-মা সবাইকে আমরা মেরে ফেলেছি, তিনি এ দেশটাকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছেন। তার জন্য তোমরা দোয়া করো। এই এলাকায় যেন কোনো ইভটিজিং না হয়। কেউ যেন মাদক বেচতে না পারে। তোমরা যদি একসঙ্গে থাকো কেউ মাদক বেচতে পারবে না, কেউ ইভটিজিং করতে পারবে না।
শামীম ওসমান বলেন, কলেজের সময়ের কথা, আমার পরিচয় জানার পর তখন সবাই একটু কেমন করে তাকাতো। আমার কাছে আসতে চাইত না। আমার বাবা সেটা আগেই জানতেন। তিনি আমার রাজনৈতিক জীবনের শিক্ষক। তখন বাবা আমাকে দুটো জিন্সের প্যান্ট, দুটো শার্ট ও একটি জামা দিয়েছিলেন কলেজে যাওয়ার জন্য। বলেছিলেন তোমার ক্লাসের সবচেয়ে নিরীহ ছেলেটিও যেন তোমার সঙ্গে মিশতে পারে তোমাকে এমনভাবে চলতে হবে। তিনি বলেন, আমি তখন তোলারাম কলেজের ভিপি। আব্বা জেলে, বড় ভাই কাদেরিয়া বাহিনীতে। আমার পরীক্ষার ফরম ফিলাপের টাকা ছিল না। ৯০০ টাকার জন্য ফরম ফিলাপ করতে পারছিলাম না। তখন আমার স্যার তোলারাম কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল জীবন কানাই চক্রবর্তী আমার ফরম ফিলাম করে দিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দনশীল।সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও মিজমিজি পশ্চিমপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাজী মো. ইয়াসিন মিয়ার সভাপতিত্ব বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নাসিক ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী আনোয়ার ইসলাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, মিজমিজি পশ্চিমপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সাইদুর রহমান, আনন্দলোক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমান বজলুল হক, আলী আকবর, কবির উদ্দিন, দাতা সদস্য গিয়াসউদ্দিন টুলু, প্রোএকটিভ মেডিকেলের ডিজিএম, বড় হযরত, ছোট হযরতসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।