র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার, অপরাধ দমন ও আইন শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর এবং আলোচিত অপরাধের অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। নিবিড় গোয়েন্দা নজরদারী ও পরিকল্পিত আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অপরাধী গ্রেফতার এবং আইনের আওতায় এনে র্যাব ইতিমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
২। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জের একটি আভিযানিক দল গত ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ রাতে কক্সবাজার সদর উপজেলা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার প্রধান ও একমাত্র আসামী সাইদুর রহমান (৩৫), পিতা- সুদা, গ্রাম- চেংগাকান্দি, থানা- সোনারগাঁও, জেলা- নারায়ণগঞ্জকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, প্রায় ১৫ বছর আগে ভিকটিম আখির সাথে তার বিয়ে হয় এবং বর্তমানে তাদের দুই ছেলে ও চার মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। অভিযুক্ত ঘাতক স্বামী সাইদুর মাদকাসক্ত ছিল এবং বিয়ের পর থেকে পরকীয়ার সন্দেহে প্রায়শই ভিকটিমের সাথে পারিবারিক কলহে লিপ্ত হত। এই পারিবারিক কলহের এক পর্যায়ে গত ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখ আনুমানিক রাত ২০৩০ ঘটিকার সময় ভিকটিমকে লোহার শিকল দিয়ে হাত-পা বেধে দুই ছেলের সামনে লোহার হাতুড়ি দিয়ে মাথায় এলোপাথাড়ি আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। মারধরের সময় ভিকটিমের দুই ছেলে সিয়াম ও অর্ণবের চিৎকারে আশে-পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ঘাতক স্বামী দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে উক্ত ভিকটিমকে গুরুতর আহত অবস্থায় সোনারগাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের পিতা ইব্রাহীম বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করেন। যার মামলা নং- ০৫, তারিখ ০৩/০২/২০২৩, ধারা- ৩০২ পেনাল কোড। উল্লেখ্য যে ইতোপূর্বে উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে তার খালাতো ভাই তুহিন (১৬) কে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ আছে বলে জানা যায়।