নিজস্ব প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাফিক পুলিশের দুর্নীতি ও অনিয়ম যেন দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন জেলা পুলিশ প্রশাসন। ট্রফিক পুলিশের সার্জেনরা রাস্তায় লাইসেন্স বিহীন মোটর সাইকেল থামিয়ে সাধারন মানুষদের প্রতিনিয়ত হয়রানি করছে এমনই অভিযোগ উঠেছে জেলা ট্রাফিক পুলিশের সার্জন তাইবুর রহমানের বিরুদ্ধে।
গত ২৩ ফেব্রুযারী সিদ্ধিরগঞ্জ নতুন পাইনাদী মহল্লার চাঁন মিয়ার ছেলে মোঃ আল আমিন বাদী হয়ে জেলা পুলিশ সার্জেন তাইবুর রহমানের বিরুদ্ধে হয়রানি ও অনিয়মের অভিযোগে জেলা পুলিশ সুপারের বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
লিখিত অভিযোগের বিবরনে ভুক্তভোগী মোঃ আল আমিন জানান, সার্জেন্ট তাইবুর রহমান কর্তৃক অনিয়ম ও হয়রানী মূলক মামলার নামে নগদ টাকা উৎকোচ পাওয়ার উদ্যেশ্যে আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানী করেছে। বিগত ১৯-০২-২০২৩ইং তারিখে আনুমানিক দুপুর ১২.০০টার সময় নারায়ণগঞ্জ যাওয়ার পথে শিবু মার্কেট নামক স্থানে আমাকে বাইক চালানো অবস্থায় সিগন্যাল দেয়। তারপর আমার সমুন্বয় কাগজপত্র সঠিক থাকা স্বত্তেও মামলা দিবে বলে আমাকে প্রায় ২ ঘন্টা বসিয়ে তারপর বলে আপনাকে ৩০৩০টাকা জরিমানা বাবদ আপনাকে মামলা করা হইল। সাদা ২ ইঞ্চি বাই ২ইঞ্চি কাগজে লিখে আমার হাতে ধরিয়ে দেয়। গত ২২/০২/২০২৩ইং তারিখে আমি ও আমার পিতা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ট্রাফিক সোহান সরকারের সাথে সাক্ষাৎ করে উক্ত স্লিপটি তাহাকে দেখালে তিনি আমাকে খানপুর মেট্রো হল নামক স্থানে ট্রাফিক অফিস থেকে মামলার মূল স্লিপ নেওয়ার জন্য পাঠান। আমি তাহার কথামত ট্র্যাফিক অফিসে গেলে কম্পিউটার কর্তৃক একখানা মামলার কাগজ আমার হাতে দেন। সেই মুহুর্তে সার্জেন্ট তাইবুর রহমান এসে আমার হাত থেকে জোড় করে ছিনিয়ে মামলার স্লিপ খানা নিয়ে যান। তারপর আমার কোন উপায় না দেখে অফিস হতে বের হয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ট্রাফিক সোহান সরকারকে উক্ত বিষয়ে ফোনের মাধ্যমে অবগত করি। অতঃপর উক্ত বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় আমি পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
এ বিষয়ে পুলিশ সার্জেন্ট তাইবুর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি একটি ভিআইপি ডিউটি করার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার বাইরে আছি আগামী ৫ মার্চ এসে কথা বলবো।