খাবিরুল ইসলাম খবিরকে নৃশংসভাবে হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার পরিবার।
রবিবার (১২ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১ টায় বালুর মাঠস্থ সিনামন রেষ্টুরেন্টে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে নিহত খবিরের পরিবার।
এসময় নিহত খবিরের পিতা আমিনুল হক সাংবাদিকদের বলেন, আমার সন্তান খবির গত ৯ ফেব্রুয়ারী আত্মহত্যা করেছে বলে আমরা জানতে পারি। কিন্তু তার আগের দিন (৮ মার্চ) সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডিতে পোষ্ট করেছিলো। যা কিনা পরবর্তীতে তার মেয়ে খাদিজা ডিলিট করে দেয়। ঐ দিনই খবিরের স্ত্রী মুক্তি, তার মেয়ে খাদিজা, শ্বাশুড়ি লতিফা ও তার ভাই রমজান খবিরুলকে পাগল বলে আখ্যায়িত করে মারধর করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। কিন্তু খবিরের স্ত্রী মুক্তি আমাকে মোবাইল ফোনে কল করে জানায় পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে গেছে। পরবর্তীতে কে বা কারা তাকে থানা থেকে ছুটিয়ে এনেছে তারা আমাকে সেটা বলতে পারেনি।
পরদিন (৯ মার্চ) খবিরের মেয়ে খাদিজার সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে সে আমাকে জানায়, খবির এক মুঠ ঘুমের ঔষধ খেয়ে ঘুমিয়ে আছে। তাকে ঘুম থেকে উঠানোর কথা বললে সে আমাকে জানায়, তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে অন্য বাড়িতে চলে আসছে। পরে সন্ধ্যার দিকে আমি জানতে পারি খবির আত্মহত্যা করেছে। ঐ দিন রাতে খবিরের স্ত্রী মুক্তি, শ্বাশুড়ি লতিফা ও তার ভাই রমজান সহ লুৎফর রহমানকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। কিন্তু আদালতে খাদিজা তার মৃত বাবাকে পাগল বলে আখ্যায়িত করে স্বাক্ষী প্রদান করায় শ্বাশুড়ি লতিফাকে আদালত জামিনে মুক্তি দেয়। নতুন করে তারা আমার মৃত ছেলেকে পাগল বানানোর ষড়যন্ত্র করছে। কারন তার স্ত্রী পরকিয়া প্রেম করতো এবং মেয়ে খাদিজা তার খালাতো ভাইয়ের সাথে প্রেম করতো। জমি-জমা সহ এসকল বিষয়ে প্রায় সময় তাদের সাথে ঝগড়া হতো। খবিরকে পাগল হিসেবে আখ্যায়িত করার সাথে আমার নাতনি খাদিজাতুল আক্তার মারিয়া জড়িত রয়েছে। আমার ছেলেকে তারা শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করতো। যা আমার ছেলে খবির আত্মহত্যার আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বেশ কয়েকটি পোষ্ট করে জানিয়েছে।