নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, ৪০-৫০ হাজার খারাপ মানুষের সঙ্গে আমি একাই লড়তে পারবো। কারো দরকার নাই। কারণ, আমি আল্লাহর ওপর ভরসা করে রাজনীতি করি। অচিরেই সবগুলো এলাকায় যাব। তাই সবাইকে বলছি সন্ত্রাস, ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজ ও ইভটিজারদের রুখে দিতে হবে।
বুধবার (১৫ মার্চ) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বক্তাবলী এলাকার একটি স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বক্তাবলী কানাইনগর ছোবহানিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের এ আয়োজন করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর বক্তব্যের জবাব দিয়ে শামীম ওসমান বলেন, অনেকেই বলেন আমরা নাকি নারায়ণগঞ্জে ওসমানীয় সাম্রাজ্য কায়েম করেছি। এ কথা সত্য যে আমরা সাম্রাজ্য কয়েম করেছি। আল্লাহর হুকুমে দাদা, বাবা ও ভাই ছিলেন। আমরা সাম্রাজ্য করেছি মানুষের মনের ভেতরে জায়গা করে নিতে। আমার বাবা কোনো অলি আউলিয়া ছিলেন না। আমার বাবা কোনো খেলাফত পাননি। তিনি ছিলেন একজন সাধারণ মানুষ। দেশের সবচেয়ে ধনী পরিবারের সন্তান ছিলেন।আমরাও খেলবো, অবশ্যই খেলবো: শামীম ওসমান তিনি আরও বলেন, খান সাহেব ওসমান আলীর ছেলে ছিলেন আমার বাবা। আমার বাবা এমপি ছিলেন দুইবার। কিন্তু আমাদের পরিবারের জন্য এক টাকাও রেখে যাননি। ৭৫-৭৯ পর্যন্ত এক বেলা ভাত খেয়েছি আরেকবার খেতে পারি নাই। টাকার জন্য ফরম ফিলাপ করতে পারি নাই। আমার বাবা কারো জমি বা দেবত্তোর সম্পত্তি দখল করে নাই।শামীম ওসমান বলেন, আমার ভালো মানুষ দরকার। এক জায়গায় গেলাম প্রচারণা করলাম দেখা গেল সামনে মটরসাইকেলে একজন চলছে। আমি যাওয়ার পর দোকানে গিয়ে বলে- আমারে চিনস, দে এক প্যাকেট সিগারেট দে। এতে আমার পুরো অর্জন শেষ হয়ে যায়। তাই আমার এসব মাস্তান দরকার নাই।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে পরিচ্ছন্নকর্মীদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মীরাও মানুষ। তারা তাদের দাবি নিয়ে গেল সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে। সেখানে পুলিশ দিয়ে তাদের সরিয়ে দেওয়া হলো। আমাদের একজন যার জন্য আমরা নৌকা মার্কায় ভোট চেয়েছিলাম। আপনারা সকলে ভোট দিয়ে পাশ করিয়েছেন। এখন তিনি আপনাদের চাকরি খাওয়ার হুমকি দেয়। আমি এজন্য সাংবাদিকদের মাধ্যমে সবার কাছে ক্ষমা চাই। হাতজোড় করে ক্ষমা চাই। আমি এ বিষয়ে বেশি কিছু বলতে চাইনি কিন্তু যেহেতু সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেছে সেহেতু উত্তর দিয়েছি।
কানাইনগর ছোবহানিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের সভাপতি মো. শওকত আলীর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন মো. রিফাত ফেরদৌসসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।