ফতুল্লার দেওভোগ বাশমুলি এলাকার দূর্র্ধর্ষ সন্ত্রাসী আফজাল (৪২)কে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ রাজু প্রধান বাহিনীর সন্ত্রাসীরা।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকালে পশ্চিম দেওভোগ মাদ্রাসা এলাকার হাসেম বাগে এ ঘটনা ঘটে।
আফজাল ফতুল্লার পশ্চিম দেওভোগ বাংলা বাজার প্রধান বাড়ীর এবাদুলের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় ১৪ টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এ ব্যাপরে স্থানীয়রা জানায়, কয়েক মাস আগে রাজু প্রধান বাহিনীর রাসেদকে আফজালসহ বেশ কয়েক সন্ত্রাসী কুপিয়ে ও পিটিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দিয়েছিলো। সে সময়কার ঘটনার ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এবং সে ঘটনায় মামলাও হয়। সেই মামলায় আফজাল গ্রেপ্তার হয়।
রাশেদকে কুপিয়ে জখমের হামলার প্রতিশোধ নিতেই বৃহস্পতিবার সকালে আফজালকে কুপিয়ে হত্যা করে রাজু প্রধান, রাসেল, রাসেদসহ রাজু প্রধান বাহিনীর সন্ত্রাসীরা।
পুলিশ জানায়, সকাল নয়টার দিকে আফজাল রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলো। সে সময় রাজু বাহিনীর প্রধান রাজু প্রধান, রাসেল তার ভাই রাসেদসহ ১০-১৫ জন সন্ত্রাসী তাকে রাস্তা থেকে তুলে হাসেমবাগ এলাকায় নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। আফজালের আত্বীয়-স্বজনেরা সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে শহরের জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা আফজালকে কুপিয়ে জখম করে। পরে সে মারা যায়। নিহত আফজালের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় ১২টির মতো মামলা রয়েছে।
প্রসঙ্গত : গত বছরের ২০ নভেম্বর দুপুরে ফতুল্লার পশ্চিম দেওভোগ বাঁশমুলি, কাশিপুর এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও হত্যাসহ দেড় ডজনেরও বেশি মামলার আসামি রাজু প্রধানকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। রাজু প্রধান ফতুল্লা মডেল থানার দেওভোগ প্রধান বাড়ীর রিয়াজ প্রধানের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, সন্ত্রাসী রাজু প্রধান বাহিনীর কাছে জিম্মি পশ্চিম দেওভোগ মাদ্রাসা শেষ মাথা, বাংলাবাজার, বাঁশমুলি, নুর মসজিদ, ভোলাই এলাকার সাধারণ মানুষ। এ বাহিনীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে হত্যা, অস্ত্র, মাদক, ভূমিদস্যুতা, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে। সন্ত্রাসী রাজুর বিশাল কিশোর গ্যাং বাহিনী এলাকায় ত্রাস হিসেবে পরিচিত।