1. sajujournalist123@gmail.com : Selim Mahmud : Selim Mahmud
  2. admin@ganomaddhom.com : nvl5d :
  3. salemo1834949@gmail.com : Selim Mahmud : Selim Mahmud
ফতুল্লার শাসনগাঁও এলাকায় পুর্ব শত্রুতার জের ধরে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম! - নারায়ণগঞ্জ আপডেট
মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ০৩:২১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
সন্ত্রাসী,দখলবাজ ও মাদক ব্যবসায়ীরএকমাত্র ঠিকানা জেলখানা-ওসি লিয়াকত এমপি মন্ত্রী মেয়র চেয়ারম্যান মেম্বর কাউন্সিলর তারা কেউ সঠিকভাবে কোনে কাজ করে নাই- মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমেদ বন্দরে সেনাবাহিনীর অভিযানে ২ নারী মাদক ব্যবসায়ী আটক স্বৈরশাসক তিন তিনটি নির্বাচন করে জনগণকে ভোটের অধীকার হরণ করেছে – গিয়াসউদ্দিন ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ও করোনা সচেতনতায় ২৩ ও ২২নং ওয়ার্ডে আশার মাস্ক ও লিফলেট বিতরণ নারায়ণগঞ্জে বোমা হামলা বিচারের অপেক্ষায় ২৪ বছর নারায়ণগঞ্জে ব্যাংক থেকে কারখানা যাওয়ার পথে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই অ্যাতলেতিকোকে গুঁড়িয়ে ক্লাব বিশ্বকাপে পিএসজির উড়ন্ত সূচনা করোনা ও ডেঙ্গু সংক্রমণ প্রতিরোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে জরুরি নির্দেশনা জাকির খানের নির্দেশে এখনও আমরা রাজপথে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখি:এরশাদ আহমেদ

ফতুল্লার শাসনগাঁও এলাকায় পুর্ব শত্রুতার জের ধরে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম!

নারায়ণগঞ্জ আপডেট
  • Update Time : বুধবার, ১০ মে, ২০২৩
  • ২৩৩ Time View

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার শাসনগাঁও এলাকার তানিয়া আক্তার (২৮) নামের এক গৃহবধূর হরিহর পাড়া মৌজাস্থিত ২০১৮ সালে ১১.৫০ শতাংশ জমি রেজিষ্ট্রি পাওয়ার অব এটনির মাধ্যমে যার মূল্য (১ কোটি ৭ লক্ষ নগদ টাকা) গ্রহন করে প্রতারক স্থানীয় এলাকার হাসমত আলী খাঁন এর ছেলে খলিল (৫২), দেওয়ান আকরীর ছেলে আপঞ্জিন অলি (৫৮), অল্মাত এর ছেলে জাহাঙ্গীর (৫০) সহ অজ্ঞাত আরো একজন। ঘটনার পর থেকে নানা ধরনের অজুহাতে সম্পূর্ন টাকা না দিয়ে মাত্র ৪ লক্ষ ৯৮ হাজার টাকা দিয়ে উল্টো তার স্বামী ব্যবসায়ী শামীম তালুকদারকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে টাকা দেওয়ার কথা বলে গত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারীভাবে কুপিয়ে মারাত্নক জখন করে। এ ঘটনায় তানিয়া আক্তার বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যার নং-০১(৪)২০২৩, তারিখ-০১/০৪/২০২৩ইং।
মামলার ঘটনার বিবরনে তানিয়া আক্তার জানান, আমার স্বামী ফতুল্লা থানাধীন বিসিক শাসনগাঁহ ভালুকদার সুয়েটার এন্ড প্রিন্টিং ও পূর্ণতা ফ্যাশান এর মালিক হিসেবে দীর্ঘ দিন যাবৎ সুনামের সহিত ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসিতেছিল। বিগত ২০১৮ সালে ২নং বিবাদী তাহার মালিকানাধীন হরিহর পাড়া মৌজাস্থ ১১.৫০ শতাংশ সম্পত্তি আমার নামে রেজিঃ পাওয়ারর অব এ্যাটনিনামা দলিল সম্পাদন করিয়া দেয়। পরবর্তীতে ২নং বিবাণী বর্নিত সম্পত্তির মূল্য বাবদ আমার স্বামীর নিকট হইতে নগদ ১,০৭,০০,০০০/-(এক কোটি সাত লক্ষ) টাকা গ্রহণ করে। বিবাদীরা বর্ণিত সম্পত্তি আমার অনুকূলে সার কবলা দলিল না করিয়া দিয়ে বিভিন্ন অযুহাত দেখাইয়া কালক্ষেপন করে আসিতেছিল। এক পর্যায়ে ২নং বিবাসী আমার দেওয়া পাওয়ার অব এ্যাটমিনামা দলিল আমার ও আমার স্বামীর অজ্ঞাতসারে বাতিল করিয়া বর্ণিত সম্পত্তির কতিপর ওয়ারিশ বর্নিত সম্পত্তির কিছু অংশ অন্যত্র বিক্রয়া করিয়া তাহাদেরকে দখল বুঝাইয়া দেয়।
তার পর হতে আমি সহ আমার স্বামী বিবাদীদ্বয়ের নিকট বর্ণিত সম্পত্তির মূল্য বাবদ দেওয়া ১,০৭,০০,০০০/-(এক কোটি সাত লক্ষ) টাকা ফেরৎ চাইলে তাহারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সেন সরবারের মাধ্যমে অনুমান এক দেড় মাস পূর্বে স্থানীয় ভাবে জমি ক্রয় বিক্রয় ও টাকা পয়সার লেন দেন নিয়ে সমজোতা হয়, সেখানে বিবাদী পক্ষ আমাকে ৭৭,৫০,০০০/- টাকা ফেরৎ প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে ২নং বিবাদী ব্যাংক ঢেকের মাধ্যমে আমার স্বামীকে ৪,৯৮,০০০/- টাকা প্রদান করে। পরবর্তীতে ১ ও ২নং বিবাগীশ্বর আমার পাওনা টাকা না দেওয়ার জন্য আমার স্বামীকে ক্ষতি করার বিভিন্ন কটু-কৌশল অবলম্বন করিতে থাকে এবং আমার স্বামীকে। ২৮/০৩/২০২০ ইং তারিখ বিকাল অনুমান ০৩:০০ ঘটিকার সময় আমার স্বামী ও আমার স্বামীর প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মোঃ শামতুল আলম সজীব (২) আসলাম (৩৭) বড় এনায়েত নগর ভূমি অফিস হইতে পার্যায়ে পায়ে হেটো পঞ্চবটি আসার পথিমধ্যে পঞ্চবটি মসজিদ মার্কেট সংলগ্ন কোয়াালিটি মিষ্টির দোকানের সামনে পৌছাইলে আমার স্বামী ২নং বিবাদীর নিকট পাওনা টাকা না দেওয়ারর জন্য উল্লেখিত বিবাদীগণ সহ তাহাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন বিবাদী প্রত্যেকে হাতে ছোরা সুইজ গিয়ার চাকু, চাপাতি, লোহার রড, ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র সঙ্গে সন্দিত হয়ে আমার স্বামী আমার স্বামীর প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মোঃ শামচুল আলম সজীব ওরফে আসলাম (৩৭) ঘরকে পথরোধ করে অতর্কিত ভাবে আক্রমন করে এলোপাথারী মারপিট করিতে থাকে। এক পর্যায়ে মামলার ১নং বিবাদীর হাতে থাকা ধারালো সুইজ গিয়ার চাকু দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে আমার স্বামীর তল পেটের বাম পাশে মেরে আমার স্বামীর তল পেটে ও বাম কিডনিতে গুররুতর রক্তাক্ত কাটা জখম করে। ২নং বিবাদীর হাতে থাকা খাবালো ছোরা দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে আমার স্বামীর বুকে আঘাত করিতে গেলে উক্ত ধারালো ছোরার আঘাত আমার স্বামীর বুকে নাম পাজরে ও বগলের নিচে লাগিয়া গুরুতর কাটা রক্তাক্ত কাটা জখম করে। এছাড়াও ধারালো চাপাতি দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে আমার স্বামীর মাথায় কোপ মারিতে গেলে আমার স্বামীর তাহার বাম হাত দ্বারা ফিরাইলে বাম হাতের কনিতে লেগে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন বিবাদী তাহাদের হাতে থাকা লোহার রড ও লি আই পাইপ দ্বারা আমার স্বামীকে এলোপাথালী পিটিয়ে আমার স্বামীর বুকে, পিটে, পায়ে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা রক্ত জমাট জখম করে। এক পর্যায়ে আমার স্বামীর প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মোঃ শামচুল আলম সজীব ওরফে আসলাম (৩৭) কে আমার স্বামীকে রক্ষা করিতে গেলে ২নং বিবাদীর হাতে থাকা ধারালো ছোরা হত্যার উদ্দেশ্যে ম্যানেজার মোঃ শামফুল আলম সঙ্গীৰ ওরফে আসলাম (৩৭) কে বুকের ডান পাশের বগলের নিচে কোপ মারিয়া গুরুতর রক্তাক্ত কাটা সম করে এবং ১নং বিবাদীর হাতে থাকা ধারালো সুইল গিয়াার চাকু দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ম্যানেজার মোঃ শামফুল আলম ওরফে আসলাম (৩৭) এর বুকে আঘাত করিলে উক্ত সুইজ গিয়ার চাকু আগাত তাহার ডান হাতের বাহুতে লেগে এক পাশ হইতে অপর পাশ দিয়ে চাকু বাহির হয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। এ সময় আমার স্বামী ও মানেজারের ডাক চিৎকারে কোয়ালিটি মিষ্টির দোকানের লোক জন সহ আশ পাশে লেক নান আগাইয়া আসিতে থাকিলে বিবাদীরা আমার স্বামীকে বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতি ও জীবন নাশের হুমকি দিয়া চলে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় এলাকার লোকজন আমার স্বামী ও ম্যনেজার মোঃ শামছুল আলম আসলাম (৩৭) কে গুরুতর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করে চিৎসার জন্য নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেয়া হয়। সংবাদ পেয়ে আমি সহ আমার ভাগিনা শাওন (৩৬) এবং অন্যান্য উক্ত হাসপাতালে গিয়ে আমার স্বামী ও ম্যানেজারকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় দেখি। এ সময় কর্তব্যরত চিৎসক আমার স্বামী ও ম্যনেজারকে প্রথমিক চিকিৎসা প্রদান করার পর তাহাদের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। পরবর্তীতে তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথিমধ্যে আমার স্বামী অবস্থা আরও আশঙ্কা জনক ও প্রচঠ রক্ত ক্ষরণ হতে থাকলে তাৎক্ষনিক তাকে ঢাকা আজগর আলী হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমাদেরকে জানান যে, আমার স্বামীর বাম পাশে কিডনিতে গুরুতর অথম প্রাপ্ত হয়েছে তাহার জরুরী অপারেশন প্রয়োজন। তাৎক্ষনিক আমরা আমার স্বামী ও ম্যনেজারকে ঢাকাস্থ ধানমন্ডি পপুলার মেডিকেল কলেজ হসপাতালের (তবন ৪) নিয়ে গিয়ে ভর্তি করি। এ সময় ডাক্টাররা জানান তার বাম পাশের কিডনিতে প্রচন্ড পরিমাণে রক্তক্ষণ হচ্ছে। আমার স্বামী বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

আরও সংবাদ

আজকের দিন-তারিখ

  • মঙ্গলবার (রাত ৩:২১)
  • ২৪শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • ২৮শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
  • ১০ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ (বর্ষাকাল)
©২০২৩ সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত নারায়ণগঞ্জ আপডেট
Developed BY RIAZUL