নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার গোগনগর ইউনিয়নের বাড়িরটেক এলাকা মাদক ব্যাবসায়ীদের অভয়ারন্যে পরিনত হয়েছে। সদর মডেল থানার পুলিশের অভিযানে কিছুদিন মাদক ব্যাবসায়ীরা এলাকা ছেড়ে যায়। এলাকাবাসীর অভিযোগ এলাকার চিহিৃত মাদক ব্যাবসায়ীরা আবারও এলাকায় বীরদর্পে মাদকের ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১১ই মে) রাত্র অনুমান ৯.৪০ মিনিট সময়ে মাদক ব্যাবসায়ীদের মাদক বিক্রীতে বাধাঁ দেওয়ায় ব্যাবসায়ী মনিরকে কুপিয়ে আহত করেন।
ব্যাবমায়ী মনির গণমাধ্যমকে জানান, আমি রাত্র ৯টার কিছু পরে বাড়িরটেক এলাকায় আমার নিজ বাসা থেকে দেড় বছরের পুত্র সন্ত্রানকে নিয়ে হাটহাটি করছিলাম। এসময় মাদক ব্যাবসায়ীরা আমার পূর্ব শত্রুতার জেড় ধরে পথ আটকায়। তারা আমাকে ধাঁক্কাধাক্কি ও গালিগালাজ করতে থাকে। তাদের মধ্যে একজন আমার দেড় বছরের শিশু সন্তানকে কোল থেকে জোড়পূর্বক ছিনিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে আমার সন্তানের গলায় চাকু ধরে আমাকে এলাপাথারি মারতে থাকে। তাদের সাথে থাকা লাঠি ও চাকুর আঘাতে আমি মাটিতে পড়ে যাই। পরে মাদক ব্যাবসায়ীরা একত্র হয়ে আমাকে এলাপাথারি মারতে থাকে। আমি প্রায় সময়ই তাদের মাদক ব্যাবসা করতে বারন করতাম। এই সঙ্গবদ্ধ চক্রটি দীর্ঘদিন বাড়িরটেক এলাকায় মাদক ব্যাবসা করে আসছে। তাদের কারনে এলাকার উঠতি বয়য়ের ছেলেরা মাদকে আশক্ত হয়ে পড়ছে। এতে করে অনেকেই স্কুল কলেজ ছেড়ে দিয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, মনির তার ছোট বাচ্চা নিয়ে এলাকায় হাঁটাহাটি করছিলেন এমন সময় এলাকার সমাদ সরকারের ছেলে সোহেল, মুনসুরের ছেলে শাজাহান,জেরিন,শামীম সর্ব পিতা-আছলাম মন্ডল,আমীর হোসেনের ছেলে সোহাগ সহ অজ্ঞাত আরও ৮/১০ জন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মনিরকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। এসময় তার ডাক চিৎকারে এলকার লোকজন এগিয়ে আসলে মাদক ব্যাবসায়ীরা পালিয়ে যায়। পরে মনিরের ডাক চিৎকারে এরাকারবাসী ও স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে সদর জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে জরুরী চিকিৎমসা করান।