ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে সারাদেশে অভ্যন্তরীণ নৌপথে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নৌযান চলাচল বন্ধের এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।
শনিবার (১৩ মে) বিআইডব্লিউটিএ’র বরাত দিয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম খান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে সারাদেশে অভ্যন্তরীণ নৌপথে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। এ ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের কাছাকাছি সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ। এমন পরিস্থিতিতে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তবে বাগেরহাটের মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সংক্রান্ত আবহাওয়ার ১২তম বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপের পার্থক্য বেশি থাকার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যা থেকে কক্সবাজার ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে। অতি প্রবল এ ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।