পবিত্র ঈদ-উল-আযহার কুরবানির পশুর হাট শুরু হওয়ার আগেই হাটকে কেন্দ্র করে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে দেলোয়ার বাহিনী। একক ভাবে হাট পরিচালনা ও নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে এলাকার বিভিন্ন মানুষকে মামলা হামলা করে হয়রানি করছে তারা। এর থেকে রেহায় পায় নি সাত মাস পূর্বে দূর্ঘটনার শিকার আব্দুর রহমান। যে কিনা এখনও চিকিৎসাধীন।
এলাকাবাসীর সুত্রে জানা গেছে, গত কয়েকবছর যাবৎ গোগনগর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাড়িরটেক শীষ মহল এলাকায় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় গরুর হাট পরিচালনা করে আসছে এলাকার কিছু যুবক। সবকিছুই ঠিকমত ছিলো। কিন্তু এবার সে নিজেই একা হাট করার পরিকল্পনা করে। এ উদ্দেশ্য সফল করার লক্ষ্যে দেলোয়ার এলাকার বিভিন্ন মানুষকে মামলা হামলা করে হয়রানি করছে। তবে এলাকাবাসী চায় না দেলোয়ার ও তার লোকজন হাট করুক। কারন গত বছর কোরবানির হাটের ২৫ লক্ষ টাকা একাই আত্মসাৎ করে দেলোয়ার। কিন্তু সে ও তার বাহিনী বেপরোয়া হওয়ায় তাদেরকে কোন কিছুই বলতে সাহস পায়নি এলাকাবাসী। তবে এবার সে একা হাট করার জন্য এলাকায় আতংকের সৃষ্টি করছে। এছাড়াও গত মাসে শামীম নামে এক বালু ব্যবসায়ীকে মারধর করে তার কাছ থেকে ৪ লক্ষ ৮০ হাজার ছিনিয়ে নেয় দেলোয়ার ও তার সহযোগীরা। এ ব্যাপারে শামীম সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এর পূর্বে ২০২২ সালে একটি লুটপাটের মামলায়ও তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো। এছাড়াও মাদক সহ তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা।
এলাকাবাসী আরও জানায়, গত বুধবার একটি সাজানো মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোহেল, শাহজাহান, ইসমাইল সহ অজ্ঞাত ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। কারন সোহেল একজন ব্যবসায়ী। আর সে কোন ধরনের মারামারির সাথেও সম্পৃক্ত নয়। দেলোয়ার নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এ মিথ্যা নাটক সাজিয়েছে যাতে করে হাট করার জন্য কেউ বাঁধা হয়ে না দাঁড়ায়। কারন ঘটনার দিন সোহেল বা অভিযুক্তদের কেউ সেখানে উপস্থিত ছিলোনা। টাকার লোভ তাকে বেপরোয়া করে তুলেছে। তাই সে নিজের এলাকার মানুষদের হয়রানী করছে।