ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা করার দাবি জানিয়েছেন তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকরা। শুক্রবার (১৬ জুন) বিকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে ইউনাইটেড গার্মেন্টেস ফেডারেশন অব গার্মেন্টেস ওয়ার্কার্স নারায়ণগঞ্জ জেলার আয়োজনে এমন দাবী জানান শ্রমিকরা।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কাউসার আহমেদ পলাশ বলেন, দেশ ও পোশাক শিল্পের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে গার্মেন্ট শ্রমিকরা। কিন্তু এই শিল্পের শ্রমিকরা অত্যন্ত নিম্ন মজুরিতে শ্রম দিয়ে যাচ্ছে।বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বাড়ার কারণে তাদের জীবনযাত্রার মান একেবারেই নিম্নমুখী।
এছাড়া দেশে শ্রম আইন-২০০৬ এর সঠিক বাস্তবায়ন না থাকার কারণে শ্রমিকদের অধিকার প্রায় ক্ষেত্রেই লঙ্ঘিত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়ে চলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পোশাক শিল্পের শ্রমিকরা। তাই পোশাক শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা নির্ধারণ করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, গার্মেন্টস শিল্পে সর্বশেষ মজুরি কার্যকর হয়েছে ২০১৮ সালে। শ্রম আইন অনুযায়ী প্রতি পাঁচ বছর পর পর নূন্যতম মজুরি বাড়িয়ে নতুন মজুরি বোর্ড গঠন করার কথা। নতুন মজুরি বোর্ড গঠনে দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। অথচ ক্রমবর্ধমান দ্রব্যমূল্যের ঊধ্বগতির কারণে দেশের সাত কোটির বেশি শ্রমজীবী আজ দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববাজরের দোহাই এবং উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির অজুহাতে শ্রমজীবীরা যেসব পণ্য ব্যবহার করে সেসব পণ্যের দাম বেড়েছে। প্রকৃত মজুরি অর্ধেকে নেমে যাওয়ায় জাতীয় মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধির বিপরীতে শ্রমিকরা অপুষ্টি আর কঠিনতম জীবনযাপন করছে। ইউনাইটেড গার্মেন্টেস ফেডারেশন অব গার্মেন্টেস ওয়ার্কার্স নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি শাহাদাত হোসেন সেন্টুর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, ইউনাইটেড ফেডারেশন অব গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স সংগঠনের জেলা সভাপতি শাহাদাত হোসেন সেন্টু, সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন রাজু, শ্রমিক লীগের ফতুল্লা আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।