নিজস্ব প্রতিনিধি:নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলাধীন গোগনগরের সৈয়দপুরের কয়লারঘাট গরুর হাট টেন্ডার না পাওয়ায় চেয়ারম্যানের নির্দেশ হাট বাঞ্চালের করছে পায়তারা।এনিয়ে সকালে থানার অভিযোগ এবং দুপুরের ঘটনায় তিন জনপ্রতিনিধি যুক্ত থাকায় তাদের ডেকে নিয়ে শাসালেন ডিসি।
২৫ জুন রবিবার এঘটনায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃমঞ্জুরুল হাফিজের বরাবর হাটের ইজারাদার মোঃবাবু অভিযোগ দায়ের করায় গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ইউপি সদস্য ইকবাল প্রধান, ৬নং ইউপি সদস্য মোঃবিপ্লব হোসেন, ৭নং ইউপি সদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর আলমকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে ইজারাদারকে হাট সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে দেবার জন্য নির্দেশ দেন এবং আইন অমান্য করলে তিন জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবে বলেন শাসান ডিসি।একই সাথে অভিযোগের বিষয়টি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃরিফাত ফেরদৌস দেখার দায়িত্ব প্রদান করেন।
হাট ভাংচুর করে টাকা লুটপাট ও থানা এবং ডিসি বরাবর অভিযোগের বিষয়টি সম্পর্কে হাটের ইজারাদার মোঃবাবু সাংবাদিকদের জানান, সৈয়দপুর কয়লারঘাট বালুর মাঠ আলী আকবর সাহেবের নিজস্ব জায়গায় আমি হাটের টেন্ডার পাইছি ভ্যাট, টেক্স সহ ৬২ লাখ ৫০ হাজার টাকায়।দুই তিন দিন ধরে হাটের জন্য আমি সকল প্রস্তুতি নিচ্ছি কিন্তু গতকাল থেকে আমাকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিচ্ছে।যেভাবে পারছে হাটের বৈদ্যুতিক তার কেটে দিচ্ছে, বাতি ভাংচুর করছে।এনিয়ে সকালে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। দুপুরে আমি উপজেলায় ওয়ার্ক অর্ডার নিতে আসতেছিলাম এবং দুই নাম্বার গেইট এসে পড়ছি তখন খবর পাই চেয়ারম্যানের বিচ্ছু বাহিনী সহ তিনজন মেম্বার বাপ্পি মেম্বার,হাবু মেম্বার ও জাহাঙ্গীর মেম্বার সহ বিচ্ছু বাহিনীর লুৎফর,গুল্লি জাকির,বিল্লাল, আনসার সহ অনেকেই সিসিটিভি,মনিটর,হার্ডডিক্স এবং আমাদের এই হাটটা তো অনেকেই শেয়ারে নিছি আমাদের শেয়ারের টাকা আমার ব্যাগ সহ নিয়া গেছে।আমি সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিছি এবং ৯৯৯ কল দিয়েছি পুলিশকে।পুলিশ আসার সাথে সাথে ওরা পালিয়ে গেছে।এই ঘটনায় আমি নারায়াণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেছি। আমাদের প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরো বলেন,আমি প্রশাসনের কাছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা চেয়েছি কারন আমি অনেক কষ্ট করে টাকা দিয়ে এই হাট নিয়েছি।সবাই আমাকে ভরসা করে হাট করতে বলেছে। প্রায় ৪০-৫০ জন আমরা মিলে এই হাট করতাছি।আমাদের শেয়ারের অনেক টাকা তারা আমার এই ব্যাগে জমা ছিলো তারা নিয়ে গেছে। আমি ডিসি স্যারের কাছে অভিযোগ দিছি স্যার সবাইকে ডেকে বলছে আমার হাটে কেউ যেন সমস্যার সৃষ্টি না করে এবং এমন কিছু যাতে না করে যার জন্য তাদের গ্রেফতার করে নিয়ে আসতে হয়। আমাকে বলেছে আইন মেনে হাট পরিচালনা করতে।
এর আগে সকালে মোঃ বাবু বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় আনছার আলী (৩৫), পিতা-হাজী আব্দুল কাদির, লুতফর রহমান (৪৭), পিতা-মৃত হাজী মুল্লুক চাঁন সরদার, বিল্লাল (৩৩), পিতা-মৃত সামাদ মিয়া, কাশেম (৫২), পিতা মোহাম্মদ আলী পোকা, সোয়াদ(১৮), পিতা-লুৎফর রহমান, শ্যামল (২৭), পিতা-মন্দির, সেলিম (২৬), পিতা- ওহাব আলী, মোশারফ (৪২) পিতা- মৃত মোস্তফা, নয়ন(২৩), পিতা-মৃত ওহাব আলী, সর্ব সাং-পুরান সৈয়দপুর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করে গরুর হাট ভাংচুর ও হুমকি প্রদান ও ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করায়।এছাড়াও চেয়ারম্যান ফজর আলী হাটের ইজারা না পাওয়ায় তার নির্দেশে এ কর্মকান্ড ঘটছে এবং ২৪ জুন হাটে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও গরুর পাইকারিদের হুমকি সহ বিদ্যুৎ এর সংযোগ বিচ্ছিন্ন, স্টেজ ভাংচুর করে।