আমেরিকাতে নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে উত্তেজিত করার আগাম পরিকল্পনা করেও ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি-জামাতের বেশ কিছু উশৃঙ্খল সমর্থক। এমন ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ ইতিমধ্যেই বিএনপি ও জামাতের বিভিন্ন অফিসিয়াল পেইজ থেকে ছড়িয়ে দেয়ায় পুরো বিষয়টি পূর্বপরিকল্পিত বলে মনে করছেন সবাই।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) বাংলাদেশের সময় বেলা সাড়ে বারটার সময় নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে ওই ঘটনা ঘটে। ওই বিশৃঙ্খলার খবর পেয়ে সেখানে তাৎক্ষনিক আশপাশের আওয়ামীলীগ ও যুবলীগ সমর্থকরা ছুটে আসলে ঐ বিশৃঙ্খলাকারীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েক জনের সাথে যোগাযোগ করে ও প্রচার হওয়া ভিডিও ক্লিপের মাধ্যমে জানা গেছে, জ্যাকসন হাইটসের বাঙালী পাড়ায় বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের সাথে দেখা করতে যান শামীম ওসমান। শামীম ওসমানের আগমনের খবরে সেখানে অগনিত ভক্তরা তার সাথে ছবি তুলতে ভীড় জমান। ব্যবসায়ীদের অনুরোধে তিনি চা বিরতির জন্য গাড়ী থেকে নামার সময় সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করা কয়েকজন উশৃঙ্খল বিএনপি-জামাতের কর্মীরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে অশালীন শ্লোগান দেয়া শুরু করলে শামীম ওসমান একাই তাদের সামনে গিয়ে দাড়াঁন।
এসময় বিএনপির ঐ উশৃঙ্খল কর্মীরা আবারো প্রধানমন্ত্রী ও শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে কটুক্তিকর স্লোগান দিয়ে আওয়ামীলীগ সমর্থকদের সাথে বিবাদে জড়ানোর চেষ্টা করেন। তবে দলীয়ভাবে প্রভাবশালী নেতা শামীম ওসমান সেখানে শিষ্টাচার ও ধৈর্য্যর পরিচয় দিয়ে তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেন।
শামীম ওসমান তাদেরকে বলেন, ‘ দলকে এত ভালোবাসলে সাহস করে দেশের মাটিতে গিয়ে শ্লোগান দাও তোমরা। এমন কিছু করা উচিত নয় যাতে নিজের বাবা মায়ের সম্মান হানি হয়। আমি প্রতিটি টক শোতে বলি যাদের বাবা মা আছে তাদের উচিত সবার আগে বাবা মায়ের প্রতি দ্বায়িত্ব পালন করা। সে যে দলই করুক না কেন।’
এসময় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ওই উশৃঙ্খল যুবকদের নিবৃত করার চেষ্টা করলে ব্যবসায়ীদের উপরও চড়াও হওয়ার চেষ্টা করেন তারা। পরে আমেরিকা প্রবাসী সাবেক যুবলীগ নেতা মিঠু তাদের বুঝিয়ে সড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন অজ্ঞাত বিএনপির সমর্থকরা। তবে উশৃঙ্খল যুবকরা কেউই জ্যাকসন হাইটসের বাসিন্দা না বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
তারা জানান, যে ভিডিও ছড়ানো বা প্রচার করা হচ্ছে সেগুলো এডিট করে ছড়ানো হচ্ছে। মূলত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে অশালীন শ্লোগান দেয়াতেই শামীম ওসমান ঐ উশৃঙ্খল যুবকদের সামনে গিয়েছিলেন। তা না হলে তারা শামীম ওসমানের সামনে আসতে বা কথা বলারই সাহস করতো না। এমনিক তাদেরকে সেখানে আগে কেউ দেখিনি কখনও । শামীম ওসমান সেখানে আসবেন এখবর আগে থেকেই জানতে পেরে এই ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। সেখানকার স্থানীয় সূত্র জানিয়েছেন, ঐ যুবকরা সেখানে থাকনে না, তাদেরকে সনাক্ত করার চেষ্টা করছে নিউইয়র্ক পুলিশ।