নিজস্ব প্রতিনিধি:নারায়ণগঞ্জের সদর থানাধীন সৈয়দপুর থেকে ঠিকাদার ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদাবাজির করার সময় মারধর ও মটরসাইকের ভাংচুরের ঘটনায় দুইজন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় ১২জনসহ অজ্ঞাতনামা ৮/৯ জনকে দায়ি করে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগি জিসান।
এসময় জিসান জানান, আমি দীর্ঘদিন যাবত প্রিমিয়ার সিমেন্ট ফ্যাক্টরীতে সুনামির সহিত ঠিকাদার ব্যবসায়ীর কাজ করিয়া আসিতেছি। পুরান সৈয়দপুর এলাকার ১।শুভ (২৮) পিতা মৃত দাদন মিয়া, ২। হৃদয় (২৪) পিতা-মৃত সেলিম মিয়া, ৩। তানজিল (২৭) পিতা-করিম, ৪। সাদ্দাম (৩৩) পিতা-মৃত ওহাব আলী, ৫। সেলিম (৩০) পিতা-মৃত ওহাব আলী,৬। শ্যামল (২৯) পিতা- মনির হোসেন, ৭। ইব্রাহীম (৩২) পিতা-অজ্ঞাত, মাতা- হাজেরা, ৮।মাসুদ (৩৮) পিতা-মৃত আলী, ৯। আমীন (৩৫) পিতা-মৃত নূর হোসেন, ১০। কাশেম ওরফে পোকা (৫৩) পিতা মৃত মোহাম্মদ আলী ১১ অনিক (২৬) পিতা- খলিল মিয়া ১২। বিল্লাল (৩৫), পিতা-মৃত সামাদ সহ অজ্ঞাতনামা ৮/৯ জন। কয়েকদিন যাবত আমার কাছে ৫,০০,০০০/-টাকা টাকা চাঁদা দাবি করিয়া আসিতেছে। আমি তাদের চাহিত মোতাবেক চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাহারা আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি সহ ঠিকাদার ব্যবসা করিতে দিবে না বলিয়া জানায়।
গতকাল ২৭/০৭/২০২৩ তারিখ বিকাল অনুমান ০৪.৩০ ঘটিকার সময় আমি ফ্যাক্টরী থেকে চর সৈয়দপুর গোল চত্তর দিয়ে মটর সাইকেল যোগে বাসায় যাওয়ার সময় গোলচত্তরে পৌছালে উক্ত বিবাদীগণ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার পথরোধ করে ১নং বিবাদী আমার কাছে পূর্বের ন্যায় একই ভাবে ৫,০০,০০০/- টাকা টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি বিবাদীর চাহিত মোতাবেক চাঁদা দিতে অস্বীকার করার ১২নং বিবাদীর হুকুমে উক্ত ১ ও ২নং বিবাদী আমার পরিহিত টি শার্ট ধরিয়া টানা হেঁচড়া করিয়া কিল-ঘুষি মারিয়া আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলা-ফুলা জখম করে। এবং বিবাদী হত্যার উদ্দেশ্যে আমার গলায় চাপ দিয়া ধরিয়া আাসরোধ করিয়া হত্যা করার চেষ্টা করে। ৪নং বিবাদী আমাকে মাটির উপর শুয়াইয়া ধারালো চাকুর ভয় দেখাইয়া আমার পরিহিত প্যান্টের বাম পকেটে থাকা আমার ব্যবসায়ীক প্রয়োজনের নগদ ১,৭০,০০০/- টাকা চাঁদার টাকা বাবত ছিনাইয়া নেয় এবং বাকি টাকা না দিলে আমাকে খুন করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দেয়।
তখন উনি আমার বাম হাতে থাকা ২টি স্বর্ণের রিং, যাহার ওজন অনুমান ৬ আনা, মূল অনুমান ৩০,০০০/- টাকা নিয়ে নেয়। বিবাদী আমার বাম হাতে থাকা একটি এ্যাপেল এর ঘড়ি, যাহার মূল্য অনুমান ৯৮,০০০/- টাকা নিয়ে নেয়। উক্ত ৮-১২ বিবাদীগন সহ অজ্ঞাতনামা ৮/৯ জন বিবাদীগণ আমার নিজ নামীয় মটর সাইকেল ভাংচুর করিয়া অনুমান ২০,০০০/- টাকার ক্ষতি সাধন করে। আমার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসিতে থাকিলে বিবাদী উল্লেখিত ঘটনা বিষয় নিয়ে কোন থানা পুলিশ করিলে জানে মারিয়া ফেলার হুমকি দিয়ে চলিয়া যায়। আমি আশপাশের লোকজনদের সহযোগীতায় আহত ব্যক্তিদের সাথে নিয়া নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে যাইয়া চিকিৎসা গ্রহণ করি। চিকিৎসা শেষে একটু সুস্থ হইয়া উল্লেখিত ঘটনার বিষয়ে কমিটিসহ গন্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে আলোচনা করিয়া থানায় আসিয়া অভিযোগ দায়ের করিতে বিলম্ব হইল ।
তিনি আরো জনান, আমি অভিযোগ করার সাথে সাথে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আনিচুর রহমান সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহন করার নির্দেশ দেন। এবং ৭নং ইব্রাহিম ও ৮নং মাসুদকে গ্রেফতার করে আনে।
এ বিষয় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আনিচুর রহমান জানান, নারায়ণগঞ্জ সদর থানাধিন এলাকায় কোন প্রকার অপরাধকে সায় দেওয়া হবে না। আমি সদর থানার বাসীদের বলতে চাই আপনারা অপরাধ যেখানেই দেখবেন আমাকে জানাবেন সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আপনারা জানেন সৈয়দপুরে ঠিকাদার ব্যবসায়ী চিসানকে চাদাঁবাজরা মারধর, মটর সাইকেল ভাংচুর সহ সাথে থাকা টাকা, স্বর্ণের রিং লুট করে নিয়ে যায় সেই সাথে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ভুক্তভোগি জিসান অভিযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহন করি এবং ইব্রাহিম ও মাসুদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি সবাইকে গ্রেফতার করা হবে। এবং তাদের নামে মামলা রজু হবে।