শিল্পাঞ্চলখ্যাত নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা সহ গোটা নারায়ণগঞ্জে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েই চলেছে। গত দুই মাসে জেলার হাসপাতাল গুলোতে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ১২ শতাধিক। তবে নারায়ণগঞ্জ জেলা কি পরিমাণ ডেঙ্গু রোগী আক্রান্ত হয়েছে তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই স্বাস্থ্য বিভাগের কাছেও। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সরেজমিন ঘুরে সদর উপজেলার ফতুল্লার কাশিপুর ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে ফগার মেশিন অথবা ঔষধ ছিটিয়ে মশক নিধন করার কার্যক্রমের বিষয়টি অবগত নন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকার ওয়ার্ডবাসীরা। নাম প্রকাশ না করে স্থানীয়রা জানান, কাশিপুর ইউনিয়নের চারদিকে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে গেছে। আমরা প্রতিনিয়তই আতঙ্কে জিবন যাপন করছি। বিশেষ করে ছোট শিশু ও বয়স্কদেরকে নিয়ে। প্রতিদিনই জেনারের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে রোগীরা ভির করছে ডেঙ্গু পরীক্ষা করার জন্য। কাশিপুর ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে মশক নিধন করার লক্ষে ফগার মেশিন ও ঔষধ ছিটানোর বিষয়ে জানতে চাইলের তারা আরও জানায়, কই আমরা তো এ কার্যক্রম দেখছি না। পাশ্ববর্তী কোন এলাকার মানুষ বলতে পারতেছেনা যে, এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে কিনা। গতকাল (সোমবার) পত্রিকার পাতায় দেখলাম নারায়ণগঞ্জ – ৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শামীম ওসমান সিদ্ধিরগঞ্জের ডেঙ্গুর বিষয়ে পরিদর্শনকালে স্থানীয় এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলরদেরকে নির্দেশ করছেন “টাকা লাগলে আমাকে বলেন আমি দেব তারপরও ডেঙ্গু নিধন করতে হবে”। আমরা চাই গোটা এলাকাটি যেন ডেঙ্গু মুক্ত হোক। অপরদিকে কাশিপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা মোঃ রানা আহমেদ জানান, গত ২ সেপ্টেম্বর আমি প্রচন্ড জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে এসে ডেঙ্গু পরীক্ষা করাই। পরদিন রিপোর্ট পেয়ে জানতে পারি আমার ডেঙ্গু পজেটিভ। এ বিষয়ে জানতে কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার ও কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিসান হায়দার উজ্জলের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, চারদিকে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার কারনে কাশিপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম সাইফ উল্লাহ বাদল এর নির্দেশে আমাদের কাশিপুর ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে ফগার মেশিন ও ঔষধ ছিটিয়ে মশক নিধনের কাজ ইতিমধেই শুরু করেছি। এ কর্যক্রম যথারীতি চলমান থাকবে। অপরদিকে কাশিপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার শামীম আহম্মেদ এর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়ে আমি অবগত নই। তবে ডেঙ্গুর বিষয়ে আমাদেরও একটা মিটিং হওয়ার কথা জানতে পেরেছি। প্রসংঙ্গ, স্বাস্থ্য বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা কয়েক হাজার হবে। শুধু শহর ও শহরতলীতেই নয় ডেঙ্গুর এই প্রকোপ জেলার উপজেলা পর্যায়েও বেড়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জুলাই মাসের শুরু থেকেই রাজধানীর পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী জেলা সদর উপজেলার ফতুল্লার শিল্পাঞ্চল খ্যাত নারায়ণগঞ্জে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।