বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে আইনের অবস্থান থেকে সরকারের আর কিছু করার নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড শর্তযুক্তভাবে স্থগিত করা হয়। পরিবর্তন করতে হলে খালেদা জিয়ার শর্তযুক্ত মুক্তি বাতিল করে সহাবস্থান আনতে হবে। এরপর অন্য বিবেচনা করা যাবে। তাকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে আইনের অবস্থান থেকে সরকারের আর কিছু করার নেই।
খালেদা জিয়াকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিদেশে নিতে হুঁশিয়ারি ফখরুলের
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাচ্ছিলাম, যেটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন- এ প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে করতে হয়। সে আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইন মন্ত্রণালয় পাঠায়। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের ওপর নির্ভর করে এ ব্যাপারটি।’
‘আমি আগেও বলেছি, এখনো বলছি। খালেদা জিয়াকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার উপধারা ১ এর ক্ষমতাবলে শর্তযুক্তভাবে সাজা স্থগিত হয়েছে এবং মুক্তি দেওয়া হয়েছে, সেটা প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতায়। এখন আইনের যে পরিস্থিতি তাতে যদি কোনো পরিবর্তন আনতে হয় তাহলে খালেদা জিয়ার যে আগের শর্তযুক্ত মুক্তি, সেটাকে বাতিল করতে হবে। বাতিল করে সহাবস্থানে যাওয়ার পর আবার অন্য বিবেচনা করা যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় আইনের অবস্থান থেকে সরকারের আর কিছু করার নেই।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে আইনের শাসন আছে। আমরা আদালতকে শ্রদ্ধা করি।’
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে ঢাকা মহানগর বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কোনো ছলচাতুরি করে লাভ নেই, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা করাতে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি (খালেদা জিয়া) অত্যন্ত অসুস্থ, অনেক অনেক বেশি অসুস্থ, চিকিৎসকরা বলেছেন, তার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। বাংলাদেশে আর তার চিকিৎসা নেই। তাকে বিদেশে না নেওয়া গেলে বাঁচানো দুষ্কর হতে পারে।