তামিম কেন নেই? দেশসেরা ওপেনারকে বিশ্বাকাপ দলে তাকে রাখা হয়নি কেন? সেটা কি প্রধান কোচ হাথুরুসিংহে আর অধিনায়ক সাকিব চাননি বলে? কেননা, গত ২৪ ঘণ্টায় একটি জোর গুঞ্জন ক্রিকেটের আকাশে-বাতাসে ভেসে বেড়িয়েছে, তাহলো- আনফিট তামিমকে চান না হেড কোচ হাথুরু এবং বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব। এমনও শোনা গেছে যে তামিম বিশ্বকাপ দলে থাকলে সাকিব অধিনায়কত্বই করবেন না।
মঙ্গলবার বিকেল গড়াতেই চাওর হয়ে যায়, তামিম বিশ্বকাপ দলে নেই। খুব স্বাভাবিকভাবেই মনে করা হয়েছে অধিনায়ক সাকিব এবং প্রধান কোচ হাথুরুসিংহের ইচ্ছেতেই দলে নেই তামিম।
আসল ঘটনা কি তাই? সত্যিই টাইগার প্রধান কোচ ও অধিনায়ক চাননি বলেই বিশ্বকাপের দলে নেই তামিম?
এটা সত্য যে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে ৭৬ বলে ৪৪ রান করার পর প্রকাশ্য সংবাদ সম্মেলনে তামিম নিজেই জানিয়েছেন, তার পিঠের ব্যথা ভুগিয়েছে এবং ব্যাটিংয়ের সময় ও পরে অস্বস্তিতে ভুগেছেন তিনি। এক পর্যায়ে তামিম জানিয়েছেন, নিজের এই অস্বস্তি নিয়ে তিনি মেডিক্যাল টিমের সাথে কথা বলবেন এবং কিভাবে কি করলে স্বস্তিতে বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন, তা জেনে নেবেন।
এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একটি গুঞ্জন ডালপালা গজিয়েছে । তাহলো- তামিম নাকি জানিয়েছেন, যে তিনি বিশ্রাম নিয়ে নিয়ে বিশ্বকাপ খেলবেন এবং বিশ্বকাপের ৯টির মধ্যে ৫ টি ম্যাচ খেলবেন; কিন্তু তামিমের খুব কাছের সূত্রের দাবি, তিনি কোথাও এমন কথা বলেননি।
তবে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু আজ মঙ্গলবার রাতে বিশ্বকাপের দল ঘোষণার সময় জনাকীর্ন সংবাদ সম্মেলনে জানিয়ে গেলেন, ‘নাহ, ওসব কিছু না। সাকিব আর হাথুরু নয়, আমরা সবাই বসে কথা বলেই তামিমের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
নান্নুর কথার সারমর্ম হলো, হেড কোচ আর অধিনায়কের ইচ্ছেতে তামিম দলে নেই- এ কথা ঠিক না। আর তামিম বিশ্বকাপে ৫ ম্যাচ খেলতে চেয়েছেন, তেমন কোনো কথাও নাকি তারা শোনেননি।
নান্নুর কথার সারমর্ম হলো, তামিম ইকবাল বেশকিছু দিন ধরেই ফিটনেস সমস্যায় ভুগছিলেন এবং ক্রমাগত ইনজুরির সাথে লড়াই করছিলেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের আগে ইংল্যান্ডে চিকিৎসা শেষে দেশে এসে ফিটনেস ফিরে পেয়েছিলেন। তাই তাকে খেলানো হয়েছে।
অথচ মাত্র একম্যাচে ব্যাটিং করে তামিম নিজেই জানিয়েছেন, তার অস্বস্তি লেগেছে। এর পরপরই টিম-ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকরা ধরে নিয়েছেন, এমন ফিটনেসে ঘাটতি ও অস্বস্তি নিয়ে তামিমের পক্ষে বিশ্বকাপ খেলা সম্ভব হবে না। তাই তাকে দলের বাইরে রাখা হয়েছে।
নান্নুর ব্যাখ্যা, ‘তামিম ইকবালের অনেকদিন ধরেই ইনজুরির শঙ্কা। আপনারাও জানেন, ও ইনজুরি নিয়ে ফাইট করছিল। নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে ফিটনেস ফিরে পেয়েছে। প্রথম ম্যাচ খেলার পর একটা কমপ্লেইন এসেছে। সব মিলিয়ে সবকিছু বিবেচনা করে, ওর ফিটনেসের কথা চিন্তা করে, ইনজুরির যে কনসার্ন আছে এটা নিয়ে চিন্তা করেই ওকে বিশ্বকাপের দলে নেয়া হয়নি।