কমিটিতে পদ পেয়েই বিভিন্ন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজিতে মেতে উঠেছেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদ্য পদ পাওয়া সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন জনি। বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজনের কাছ থেকে বিভিন্ন উপায়ে টাকা চাওয়া শুরু করে দিয়েছেন। আবার এ কামাল উদ্দিন জনি’র বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসারও অভিযোগ রয়েছে।
গত ২৯ আগস্ট স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস এম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। আর এই কমিটিতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক করা হয়েছে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সবশেষ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত ইসলাম রানাকে।
আর সদস্য সচিব করা হয়েছে মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান বাবু ও আর সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক করা হয়েছে কামালউদ্দিন জনিকে।
আর এই কমিটি ঘোষণার কয়েক দিনের মধ্যেই বিভিন্ন পর্যায়ের লোকদের কাছে টাকা চাওয়া শুরু করে দিয়েছেন কামাল উদ্দিন জনি। ইতোমধ্যে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কয়েকজনের কাছে তিনি টাকা চেয়েছেন। আর এ নিয়ে বিএনপির শুভাকাঙ্খীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের লোকদের মধ্যে নানা কানাঘুষা শুরু হয়েছে।
বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদ্য পদ পাওয়া সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক কামালউদ্দিন জনির বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। ২০১৭ সালে দেখা প্রকাশ্যে আসে কামাল উদ্দিন জনির জমজমাট মাদক ব্যবসা। সে সময় বন্দর থানার পুলিশ অভিযান চালালে জনির বাড়ি থেকে হাতেনাতে মাদক নিয়ে ধরা পড়ে তার দুই সহযোগী। আর এসময় জনি তার ঘরের জানালা ভেঙ্গে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
তারপর কিছুদিন পলাতক অবস্থায় থেকে আবার রাজনীতিতে সরব হন। সেই সাথে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলেও জায়গা করে নেন। আর যেহেতু রাজনীতিতে পদ-পদবীতে চলে এসেছেন
তাই তিনি পদের দোহাই দিয়ে চাঁদাবাজিতেও সরব হতে শুরু করেছেন।
নাম প্রকাশে অনেকেই বলেন, কামালউদ্দিন জনি’র মামা ও খালু তারা সবাই আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। যার ক্ষমতায় তিনি বিএনপির রাজনীতির পাশাপাশি মাদক ব্যবসায়ও জড়িত। এছাড়াও থানা-পুলিশের সাথে সুসর্ম্পক বজায় রাখার ফলে মরননেশা ইয়াবার ডিলার হলেও তাকে গ্রেফতার করেনা পুলিশ। এনসিসি কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশার সাথে পুর্বে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকলেও বিভিন্ন সময়ে মাদকসহ গ্রেফতার হওয়ার ফলে কাউন্সিলর আশা এ কামালউদ্দিন জনিকে তার কাছ থেকে দুরে সরিয়ে দেয় বছর দুয়েক আগে। তারা আরও বলেন,বর্তমান কমিটির আহবায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানাও একজন স্বনামধন্য মাদক ব্যবসায়ী। যার নামে একাধিক মামলাও রয়েছে বিভিন্ন থানায়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক কামালউদ্দিন জনি’র ব্যবহৃত মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমার মামাদের পুরো পরিবারই আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত এবং আমাদের পরিবার বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত। রাজনীতি করলে অনেকেই অনেক কথা বলে এটা শুনতে হয়না। তাছাড়া আমিতো বিএনপির রাজনীতি করি তাই আমার নামে বদনাম করতেই পারে। আমি আবুল কাউসার আশার সাথে রাজনীতি শুরু করি। তার পরিবারের সাথে আমার অত্যাধিক সুসর্ম্পক রয়েছে। তার সাথে প্রায় ৪ বছর পুর্বে আমার সর্ম্পক ছিন্ন হয়। আমার নামে বন্দর থানায় একটি মাদক মামলা ছিলো। তাছাড়া নারায়ণগঞ্জের কোন থানাতে আমার বিরুদ্ধে মাদক সংক্রান্ত কোন মামলা নেই।