আগামী ২৮ অক্টোবর ও ৪ নভেম্বর ঢাকার সমাবেশ সফল করতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মির্জা আজম বলেছেন, আমি নারায়ণগঞ্জ সার্কিট হাউজে সাতচল্লিশ মিনিটে এসেছি। আমার বাসা থেকে আজিমপুর যতক্ষণে যাই তার চেয়ে কম সময়ে আমি নারায়ণগঞ্জ এসেছি। এটা সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার জন্য।
ওরা এখন দিন তারিখ ঠিক করে দিচ্ছে যে তারা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করবে। তাহলে আমরা যারা আওয়ামী লীগ করি তারা কী এখানে বসে থাকবো। আমরা বলেছিলাম ৪ তারিখ মহাসমাবেশ করবো। সেটা হবে। কিন্তু তার আগে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে তারা যে কর্মসূচি দিয়েছে ঢাকা অবরোধের সেদিন আমরাও ঢাকা দখলে রাখবো। ঢাকার সবচেয়ে পার্শ্ববর্তী জেলা নারায়ণগঞ্জ। আগামী ২৮ তারিখ আমাদের সমাবেশ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট। ফ্লাইওভার থেকে তিন মিনিটে যাওয়া যায়। শাপলা চত্বরও কাছাকাছি। নারায়ণগঞ্জ মহানগর ঢাকার সবচেয়ে কাছে। আমরা আশা করি নারায়ণগঞ্জ থেকে আমাদের সমাবেশে সবচেয়ে বড় সাপোর্ট যাবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ আদালত পাড়ায় জেলা প্রশাসনের সার্কিট হাউজে আগামী ২৮ অক্টোবর ও ৪ নভেম্বর ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন ।
তিনি আরো বলেন, ২৮ অক্টোবর জামাত- বিএনপি মহাসমাবেশের নামে মরণকামড় দিতে চাইবে। সেদিন তারা ঢাকায় মহাসমাবেশের নামে ঢাকা অবরোধ। নাম দিয়েছে মহাসমাবেশ কিন্তু এটা হল তাদের অবরোধ। সে অবরোধে যা যা করার দরকার তারা তাই করবে। এবং এটা হল তাদের মরণকামড়। সেই কারণে আমরাও সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে ২৮ তারিখে তারাই ঢাকা অবরোধ করে নিবে সেটা হবে না আমরাও সেদিন মহাসমাবেশ করব। সেই সমাবেশে আমরা চাইবো তাদের চেয়ে বেশি জন জমায়েত করব। ১৩ অক্টোবর কাঁচপুরে যে জনসভাটি হল আমি সেখানে সোনারগাঁয়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। সেখানে আমি দেখেছি, আওয়ামী লীগ করে গত পনেরো বছরে অনেকেই অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধ হয়েছেন। আগে যে বাইসাইকেলে চড়ত সে এখন মোটরসাইকেল চালায়, যার মোটরসাইকেল ছিল সে প্রাইভেট কার চালায়। সবার বাড়িতেই বিল্ডিং।
তিনি আরও বলেন, যারা অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হয়েছে আওয়ামী লীগ করে তাদের মনমানসিকতায়ও আমি পরিবর্তন দেখেছি। সমাবেশ সফল করতে অনেকেই বায়না ধরে। সেটা নেয়ার জন্য না দেয়ার জন্য। যে সমাবেশের এই কাজটা আমি করে দিতে চাই। এটা বাংলাদেশের অন্য কোন জেলায় দেখা যায় না। আপনারা নিজেদের উপার্জিত অর্থের একটি অংশ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ব্যাবহার করবেন এটা আমি বিশ্বাস করি।
এসময় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মো: বাদলের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এবয় বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতিক),
নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য বাবু, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা সহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।