বিএনপি ও জামাতের ডাকা সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল বিরোধী শান্তি সমাবেশ করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুর ১২ টায় চাষাড়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড.আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদলের নেতৃত্বে বিভিন্ন নেতাকর্মীদের নিয়ে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত।
এসময় শান্তি সমাবেশ থেকে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ভিপি বাদল জানান, আপনারা জানেন গতকাল বিএনপি তাদের সমাবেশে একজন পুলিশ সদস্যকে একা পেয়ে পিটিয়ে এবং ছুড়ির আঘাত করে হত্যা করে ।আমরা তার আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেন করি।
জনগনের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে ও বিএনপি ও জামায়েতের আগুন সন্ত্রাস ঠেকাতে নারায়ণগঞ্জের প্রত্যেকটা জায়গায় আমরা ঘুরে ঘুরে ডিউটি দিচ্ছি।সন্ত্রাসী করতে আসলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।বিএনপিকে চিরতরে বাংলার মাটি থেকে উৎখাত করতে হবে। তিনি আরো বলেন, সকাল থেকে আমরা আওয়ামী লীগের কর্মীরা বিএনপির জামাতের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছি।
নারায়ণগঞ্জে কোন প্রকার অশান্তি আমরা করতে দিবো না বিএনপিকে।তাই আমরা আওয়ামী লীগ বিএনপির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এলাকায় এলাকায়, মহল্লায় মহল্লায় শান্তি সমাবেশ করছি। ২০১৪ সালে জামাত-বিএনপি ট্রেন মিস করেছেন- হরতাল করেছেন তিন মাস অবরুদ্ধ রেখেছেন। মানুষকে ট্রেনে, বাসে পুড়িয়ে মেরেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজে অগ্নিদগ্ধের আর্তনাদে বাংলাদেশের এমন কোন মানুষ নেই যে যারা সংহতি প্রকাশ না করেছেন।সে সময় দেখিনি বিএনপির কেউ হাসপাতালে গিয়ে তাদের সমবেদনা জানিয়েছেন কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী চিৎকার করে বলেছিলেন আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না আপনেরা আপনাদের অগ্নি সন্ত্রাসী বন্ধ করেন।
আপনারা জানেন ইসরাইলদের আগ্রাসনে ফিলিস্তানে যখন মুসলমানদের সাথে বাচ্চা শিশুদের হত্যা করে।হাসপাতালে হত্যা করা হচ্ছে তখন আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা বাঘের মত গর্জে উঠে উনি প্রতিবাদ করেছেন। আমেরিকাকেও ছাড় দেন নাই। দেখেন বিএনপি একটা শান্তির বার্তা পর্যন্ত দেন নাই। ওরা ইসরাঈল। ওরা ফিলিস্তিনের শত্রু, ওরা বাংলার মানুষের শত্রু। ওদেরকে আগামী নির্বাচনে প্রতিহত করে আওয়ামী লীগের নেত্রীকে নির্বাচিত বাংলার মানুষের মুখে হাঁসি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আপনারা দেখতে পেয়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ আমার ভাইয়েরা কেউ ঘরে বসে নাই সকলে দোকান পাঠ খুলেছে হরতালকে বর্জন করেছে। এ দেশে শান্তি কায়েম করতে হবে তাই আপনাদের আহবান জানাবো যে আপনারা আওয়ামী লীগের নেত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে নৌকায় ভোট দিয়ে মানুষের মুখে হাঁসি ফোটানোর সুযোগ দেন ইনআশাল্লাহ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসটি আলমগীর, সদর থানা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন, শ্রমিক নেতা সবুজ, আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আবু তাহের রনি, গোগনগর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরু শিকদার, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মামুন, শিপলু প্রমূখ।