নিজস্ব প্রতিনিধি: চলছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কাউন্ট ডাউন। আর মাত্র মাসখানেক পরই আসছে সেই মাহেন্দ্রক্ষন ভোটের দিন। ভোটের এক মাস বাকি থাকলেও ইতিমধ্যেই সারাদেশে চলছে নির্বাচনি আমেজ। চায়ের দোকান থেকে শুরু মাঠ-ঘাট সর্বত্র চলছে এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনা।
এবারের নির্বাচন অংশগ্রহনমূলক করতে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন ও সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। তবে প্রধান বিরোধী দল এখন পর্যন্ত নির্বাচনের না আসায় অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন নিয়ে দেখা দিয়ে নানা প্রশ্ন। আওয়ামী লীগ বলছে, বিএনপি নির্বাচনে না আসলেও নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হবে। কেননা, নির্বাচনে বিএনপি ছাড়া বাকি সবদলই অংশগ্রহণ করছে। তবে বিএনপি বলছে, একতরফা নির্বাচন দেশের মানুষ মেনে নেবে না। তারা এ নির্বাচনকে বয়কট করবে।
দেশে নির্বাচন নিয়ে যখন আওয়ামী লীগ-বিএনপির দ্বিমুখী অবস্থানে, ঠিক এসময়ে এসব বিষয় নিয়ে কি ভাবছে সরকার দলীয় তথা আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের তরুণ নেতারা। এসব বিষয় নিয়ে কথা হয় নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মারুফুল ইসলাম মহসীন আলম।
তিনি শুরুতেই বলেন, আসলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি কোন তেমন কোন ফ্যাক্টরই না। বর্তমানে বিএনপির তেমন জনপ্রিয়তা নাই। তারা ব্যস্ত জ্বালাও পোড়াও নিয়ে। এসব জ্বালাও পোড়াওয়ের কারণে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। তারা নির্বাচনমুখী না। তারা যদি নির্বাচনে না আসে তাহলে নির্বাচনে তেমন কোন প্রভাবই পড়বে না। বিএনপি ছাড়াও নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে। কারণ, নির্বাচনে শুধু আওয়ামী লীগ বা জাতীয় পার্টিই নয়, আরও বহুদল অংশগ্রহন করছে। সুতরাং যদি একাধীক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, তাহলে সেই নির্বাচনকে আমি কিভাবে বলবো? অবশ্যই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। আসলে তারা নিজেদের পরাজয় টের পেয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এ ছাড়া আর কিছুই না।
‘নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সুনিশ্চিৎ জয় হয় হবে’ এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করে মহসিন আরও বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে যেভাবে দাঁড় করিয়েছেন, দেশে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে, সেক্ষেত্রে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের পক্ষে থাকবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ তথা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করবে, এতে কোন সন্দেহ নেই।
‘শামীম ওসমানের সুদক্ষ নেতৃত্বের কারণে শহরে কোন জ্বালাও পোড়াও হয়নি’ জানিয়ে তিনি বলেন, এ নির্বাচনে আমার নেতা নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান। তিনি শুধু নারায়ণগঞ্জেরই নয়, আমি বলবো দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় জননেতা শামীম ওসমান। তার দিকনির্দেশনায় আমরা বিএনপির নৈরাজ্যের প্রতিবাদে এখন যেভাবে মাঠে আছি, ভোটের দিন পর্যন্ত ইনশাআল্লাহ্ আমরা সেভাবেই মাঠে থেকে আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করে ঘরে ফিরবো। আপনারা জানেন, সারাদেশে কম-বেশি বিএনপির তান্ডব চললেও আমার নেতা শামীম ওসমানের সুদক্ষ নেতৃত্বের কারণে এ শহরে এখন পর্যন্ত কোন জ্বালাও পোড়াওয়ের মত ঘটনা ঘটেনি। এমন নেতাকে বলুন কে না চায়। সবাই চায় শান্তিতে থাকতে, সবাই চায় উন্নয়ন হোক। যদি তাই হয়, তাহলে আমি বলবো, জনগণ জননেতা শামীম ওসমানের পক্ষে আছে, জনগণ জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষেই আছে, জনগণ আওয়ামী লীগের পক্ষেই আছে। কেননা, আওয়ামী লীগ শান্তির পক্ষে। আমরা তাদের (জনগণ) শান্তিতে রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
‘এবারের নির্বাচনে তরুণদের ভোট গুরুত্বপূর্ণ’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে তরুণদের ভোট একটা গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করবে। আসলে তরুণরা চায় কি? তরুণরা চায় একটি শান্তি শৃঙ্খলা সমাজ, মাদক ও চাঁদাবাজ মুক্ত সমাজ। সেসব ক্ষেত্রেও আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছে। তিনি গতবার ক্ষমতায় এসেই কিন্তু মাদকের বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স ঘোষণা করেছিলেন, যা আজও বলবৎ রয়েছে। তিনি সরাসরি বলেছেন, মাদকের বিষয়ে কোন আপোষ নেই। মাদক কারবারি যদি আওয়ামী লীগের মধ্যে কেউ থেকে থাকে তাহলেও তার ছাড় নেই। সুতরাং তরুণরা এসব বিষয় মাথায় রেখে আওয়ামী লীগ তথা নৌকা প্রতীকেই ভোট দিবে বলে আমরা বিশ্বাস।