‘বিয়েতেও এত আনন্দ করি নাই, নির্বাচনে যত আনন্দ করছি’ বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) ২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগে এসে তিনি একথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগ অফিস তালাবদ্ধ প্রসঙ্গে শামীম ওসমান বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ অফিস তালাবদ্ধ কি না আমার জানা নেই। আমি নির্বাচন করছি, মানুষের ঘরে ঘরে যাচ্ছি, আওয়ামী লীগের অফিসে যাওয়ার সময় আমার নাই। আমি আনন্দঘন পরিবেশে নির্বাচনী প্রচারণা করছি, আপনারা (সাংবাদিক) দেখছেনই। আর রূপগঞ্জে সংঘর্ষ হয়েছে। নির্বাচনে এটা হতেই পারে। তবে এটা হওয়া উচিত না। পুলিশ সুপার, নির্বাচন কমিশন, রিটার্নিং কর্মকর্তার এ বিষয়ে নজর রাখা উচিত।’
নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার নির্বাচনী প্রচারণায় যে পরিমাণ মানুষ হয় তারমধ্যে প্রতি পরিবার থেকে অন্তত দুজন করেও কেন্দ্রে গেলে আমার নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে ৫৫ শতাংশ ভোটার উপস্থিত হবেন। আর যদি পাশের বাড়ির লোকজন নিয়ে আসেন তাহলে ভোটার ৬৫ শতাংশ হবেন।’
সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লাকে গোপালগঞ্জের চেয়ে শক্তিশালী দাবি করে আওয়ামী লীগ মনোনীত এ প্রার্থী বলেন, ‘আমি হলাম সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লার বাসিন্দা। আমি মনে করি এ দুটি এলাকা গোপালগঞ্জের চেয়েও শক্তিশালী।’
তার আসনে ৮৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়ে শামীম ওসমান বলেন, ‘গতকাল আমি কাশিপুর এলাকায় গিয়েছিলাম। সেখানে আমি চাচ্ছিলাম মানুষ আমার থেকে কিছু দাবি করুক। কিন্তু কেউ কিছু চায়নি। তবে কিছু নারী এসে আমাকে বললেন, দেড় হাজার ফুটের একটি ড্রেন নির্মাণ করে দিতে।’
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া সাজনু, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক জি এম আরমান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়া, নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শফিক, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আমিনুল হক ভূঁইয়া রাজু প্রমুখ।