নির্বাচনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে তৃণমূল বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও দলটির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। তিনি বলেন, ‘যেখানেই আমার পোস্টার-ফেস্টুন লাগাই, সেখানেই রাতে গিয়ে ছিড়ে ফেলে। সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।’
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণাকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব অভিযোগ করেন।
অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, ‘সারাদেশে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থীরা এমপি বাহিনীর দ্বারা বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন। আমাদের প্রার্থীদের পোস্টার লাগাতে দেওয়া হচ্ছে না। পোস্টার খুলে ফেলা হচ্ছে। আমার সংসদীয় এলাকা রূপগঞ্জের চনপাড়াতে আমার পোস্টার লাগাতে দেয়নি। নির্বাচন কমিশন কী শুধু শোকজ করবে, নাকি অ্যাকশনেও যাবে, সেটা আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। তারপর সংবাদ সম্মেলন করে আমরা জাতির সামনে সব তুলে ধরবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার সরকারদলীয় দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে যেভাবে খুনোখুনি (সংঘর্ষ) হয়েছে, যেভাবে রামদা, দেশি-বিদেশি অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে, এখন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কী হবে না, তা নিয়ে সন্দিহান। জনমনে তো আতঙ্ক ঢুকে গেছে। সরকারি দলের মধ্যেই যদি এ রকম খুনোখুনি শুরু হয়, অস্ত্র প্রদর্শন শুরু হয় আর প্রধানমন্ত্রী যদি ব্যবস্থা না নেন, তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুত প্রধানমন্ত্রী রক্ষা করতে পারবেন না।’
সেনাবাহিনী প্রসঙ্গে তৈমূর বলেন, ‘সেনাবাহিনী নামানো হবে ভালো কথা। কিন্তু সেনাবাহিনীকে সাক্ষীগোপাল করা যাবে না। সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দিতে হবে। যেখানে সন্ত্রাস সেখানেই যেন তারা প্রতিরোধ করতে পারে। জনগণ যেন সেনাবাহিনীর কার্যক্রম দেখে মনে করে যে সেনাবাহিনী এসেছে একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য।’