নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের দরপত এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে যুবলীগ ও জাতীয় পার্টির দুই নেতার মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকেই আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন সোনারগাঁ পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি আসাদুল ইসলাম ও পৌরসভা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি শাহ জালাল। শাহজালাল সোনারগাঁ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর।
দুই নেতাকে আটকের খবরে রাতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা থানা প্রাঙ্গণে ভিড় করেন। রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত থানার সামনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অবস্থান ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোনারগাঁয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী লিয়াকত হোসেনের পক্ষে গণসংযোগ করতে তার স্ত্রী ডালিয়া লিয়াকতের দরপত এলাকায় যাওয়ার কথা ছিল। এ উপলক্ষে শাহজালাল সেখানে তার লোকজন নিয়ে অবস্থান নেন। এসময় যুবলীগের সভাপতি আসাদুল ইসলাম নৌকার প্রচারণা করতে সেখানে গেলে ওই এলাকার অবৈধ গ্যাস সংযোগ নিয়ে শাহজালালের সঙ্গে তর্কবিতর্ক এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় টহল পুলিশ দুজনকেই আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু জানান, অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে আসাদ ও শাহজালালের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। শাহজালাল মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দরপত এলাকায় অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দেন। কয়েকমাস আগে তিতাস গ্যাসের লোকজন এসে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। দীর্ঘ এক মাস বৈধ গ্যাস সংযোগসহ ওই এলাকার গ্যাস বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়। পরে আসাদুল ইসলামসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিলে পুনরায় গ্যাস সংযোগ সচল করা হয়। নির্বাচনকে সামনে রেখে শনিবার কাউন্সিলর আবারও অবৈধ সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা করেন। আসাদ এতে বাধা দেওয়ার কারণে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকার নির্বাচন সমন্বয়কারী মাহমুদুল আনোয়ার বলেন, উভয়ের মধ্যে তর্ক ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করবেন।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-অঞ্চল) শেখ বিল্লাল হোসেন বলেন, হাতাহাতির ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করে। তাদের থানা হাজতে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।