ওয়ানডে বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে, এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চ্যালেঞ্জের পালা। আসছে বছর টি-টোয়েন্টির বছর। বাংলাদেশ দলের চিন্তাও ঘুরছে তাই সংক্ষিপ্ততম সংস্করণকে ঘিরে। যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে হতে যাওয়া বিশ্বকাপের আগে ঘরে-বাইরে মিলিয়ে ১১টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রধান কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে এই ম্যাচগুলো থেকেই নিজেদের সেরা অবস্থায় নিয়ে যেতে চান।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে আগামী জুন মাসে। জুনের আগে নিউজিল্যান্ডের মাঠে তিনটা টি-টোয়ন্টির পর ঘরে মাঠে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যথাক্রমে ৩ ও ৫ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
এই এগারো ম্যাচের প্রথমটি শুরু হচ্ছে বুধবার নেপিয়ারে। এই সিরিজকে তাই প্রস্তুতির প্রথম ধাপ হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ কোচ, ‘ছেলেদের জন্য এটা পরীক্ষার প্রথম ধাপ। এখানে যারা আছে তাদের বেশিরভাগই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবে। নির্বাচনটাও এভাবে হয়েছে আর নির্বাচকরাও ঠিক এভাবেই ভাবছে। এখন কাজটা করে দেখানো হচ্ছে ছেলেদের কাজ।’
সূচিতে আপাতত আছে ১১ ম্যাচ। এরমধ্যে ৮ ম্যাচই ঘরের মাঠে। নিজেদের হোমে এত বেশি ম্যাচ খেলে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় থাকা স্বাভাবিক। তবে এসব নিয়ে মোটেও ভাবিত নন হাথুরুসিংহে। আপাতত সূচিতে থাকা ম্যাচগুলো থেকেই নিজেদের সেরা জায়গায় পৌঁছাতে চান তারা, ‘আমি যেটা বললাম বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত আমরা ১১টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাব। ম্যাচের হিসেবে করলে আমরা এটাই পাব। প্রস্তুতি আদর্শ হলো নাকি হলো না সেটা নিয়ে খুব বেশি ভাবার সুযোগ নেই। কারণ আমরা মাত্র এই কয়েকটি ম্যাচই খেলতে পারব। এই সময়ের মাঝে আমাদের ভূমিকা এবং পরিকল্পনাটা ঠিক করতে হবে।’
বুধবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে শুরু হবে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি। সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ হবে মাউন্ট মঙ্গানুইতে।