নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ক্লুলেস অটোচালক ফেরদৌস হাসান হত্যা মামলার রহস্য ২৪ ঘন্টার মধ্যে উৎঘাটন সহ মূল হত্যাকারী রকিব(২০) সহ সন্ধিগ্ধ আসামী মো. রাজিব (৩৩)কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১।
১৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ভোর রাতে বন্দরের মদনগঞ্জ হতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের বাবা মো. নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে বন্দর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-২৪, তারিখ-১২/০৯/২০২২ ইং।
ঘটনাটি এলাকার স্থানীয় জনমনে ব্যাপক ভীতির সৃষ্টি করে। উল্লেখিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহ সহ উক্ত হত্যা মামলার অজ্ঞাতনামা আসামীদের গ্রেফতারের জন্য র্যাব-১১, সিপিসি-১ এর একটি গোয়েন্দা দল ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ভোর রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-১ এর আভিযানে ২৪ ঘন্টার মধ্যে মূল হত্যাকারী আসামী মো. রকিব (২০) সহ অপর এক সন্ধিগ্ধ আসামী মো. রাজিব (৩৩) উভয় পিতা- মোঃ সামসুদ্দিন, সাং- বুরুন্দী পশ্চিমপাড়া, থানা- বন্দর, জেলা- নারায়ণগঞ্জ বন্দরের মদনগঞ্জ হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
র্যাব সংবাদ মাধ্যমে আরও জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামী রকিব তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু সিবলু’র সাথে একটি অটো চুরির পরিকল্পনা করে। ভিকটিম যে গ্যারেজে তার অটো রাখে সেই গ্যারেজে আসামী রকিব সহকারী হিসাবে কাজ করে। রকিব উক্ত গ্যারেজে অটো ভাঙ্গা ও মেরামতের কাজ করতো। ঘটনার দিন আসামী রকিব পরিকল্পনা অনুযায়ী ভিকটিমকে নিয়ে তার অটোযোগে ঘটনাস্থলে যায় এবং অপর পলাতক আসামি সিবলু তার সহযোগীদের নিয়ে রকিবের সাথে যোগ দেয়। আসামীরা সকলে মাদক ও উত্তেজক দ্রব্য সেবন করে এবং ভিকটিমকে অন্যান্যদের সহায়তায় আসামী রকিব ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী রকিব উক্ত হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেন। উক্ত হত্যাকান্ডে সম্পৃক্ততা পাওয়ায় অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অপর এক সন্ধিগ্ধ আসামীকে তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হন্তান্তর করা হয়েছে। হত্যাকান্ডে জড়িত অন্য আসামীদের গ্রেফতারে র্যাব-১১, সিপিসি-১ তৎপর রয়েছে।