বিএনপি
নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করলেও আগামী কয়েকদিন হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচিতে যাবে না বিএনপি।
আওয়ামী লীগের প্রধান বিরোধী দলটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে জনসমর্থন আদায়ে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণসহ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চালিয়ে যেতে চায়।
পশ্চিমা দেশগুলো যারা দীর্ঘদিন ধরে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে আসছে তাদের প্রতিক্রিয়া দেখে দলটি পরবর্তী কর্মপন্থা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবে বলে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের কাছ থেকে গণমাধ্যম কর্মীরা জানতে পেরেছে।
আপাতত আজ ও আগামীকাল গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি। জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন সেইসাথে কালো পতাকা মিছিল আয়োজন হতে পারে।
গত রোববার দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের ভার্চুয়াল সভায় আলোচনা অনুযায়ী, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে কারাবন্দি নেতা-কর্মীদের মুক্তির দিকে মনোনিবেশ করতে চায় দলটি।
স্থায়ী কমিটির সদস্যদের বরাত দিয়ে নেতারা বলেন, বিএনপির নির্বাচন বর্জনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে জনগণ ভোটকেন্দ্রে যায়নি। ভোটকেন্দ্রে লাইন না থাকায় ভোটার উপস্থিতি ১০ শতাংশের বেশি ছিল না।
‘৪০ শতাংশ ভোট দান অবিশ্বাস্য। শেষ এক ঘণ্টায় ১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে এবং প্রথম সাত ঘণ্টায় ২৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। এটা অযৌক্তিক।’
‘এ ছাড়া বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন ও ভিডিও ফুটেজে অনিয়ম ধরা পড়েছে।’
তাই এই নির্বাচন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য।
যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো নির্বাচনের সমালোচনা করবে এবং কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে আসতে পারে যা সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে।
দলটি ইতিমধ্যে ভোট কারচুপি এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সহিংসতা সম্পর্কিত নথি সংগ্রহ করেছে।
শিগগির এসব নথি ঢাকায় অবস্থানরত কূটনীতিক মিশনে পাঠানো হবে। বিএনপির শীর্ষ নেতারা কূটনীতিকদের ব্রিফও করতে পারেন।
দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য বলেন, প্রায় ৩০ হাজার নেতাকর্মী এখন কারাগারে রয়েছেন এবং তাদের মুক্তির বিষয়টি এখন প্রধান বিষয় হওয়া উচিত।
এ কারণে দল কোনো কঠোর কর্মসূচিতে যাবে না বলেও জানান তিনি।
গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
২৮ অক্টোবর দলের সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বাধা দেওয়ায় পর থেকে কার্যালয়টি তালাবদ্ধ ছিল।