স্টাফ রিপোর্টারঃ ৮ জানুয়ারি সোমবার বন্দর নাসিক ২৩ নং ওয়ার্ড কদম রসূল কলেজের বিপরীতে আফতাব উদ্দিনের বাড়ীর নিচ তলার ভাড়াটিয়া নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি ও যুবলীগ নেতা আরিফ চৌধুরীর তৃতীয় স্ত্রী (শাস্তা) কে গলাটিপে হত্যা করেছে এমনটিই অভিযোগ করেন মেয়ের পরিবার।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায় বন্দর দক্ষিণ লক্ষ্মণখোলা শাহাবুদ্দিনের ছেলে আরিফ চৌধুরী ২০১৬ সালে দক্ষিণ লক্ষ্মণখোলা মৃত শাহাবুদ্দিনের মেয়ে পান্নাকে প্রথম বিয়ে করেন পরে ২ বছর সংসার করার পরে প্রথম স্ত্রী গর্ভ অবস্থায় আত্মাহত্যা করেন পরে পরিবারটিকে ভয় ভীতি দেখালে থানা পুলিশ মামলা মোকদ্দমা না হলে পার পেয়ে যায় ছাত্রলীগ নেতা আরিফ।
তথ্য সূত্রে আরো জানা যায় ছাত্রলীগ নেতা আরিফ কখনো অয়ন ওসমানের সাথে ছবি কখনো শামীম ওসমানের সাথে ছবি আবার কখনো সেলিম ওসমানের সাথে ছবি আরিফের সেলফি থেকে বাদ যায়নি কেউই বড় বড় নেতাদের সাথে ছবি তুলে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে মাদকের ডিলার হিসেবেই সু পরিচিত আরিফ। অবৈধ টাকার গরমে ২০১৮ সালেই বন্দর আমিরাবাদ এলাকার ইব্রাহিম মিয়ার মেয়ে সূচনাকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করেন স্ত্রী থাকা কালীন করেন পরকীয়া একাধিক বিচার শালিসীর পর ছয় বছর সংসার শেষে ২ সন্তান সহ দ্বিতীয় স্ত্রীকে ডিভোর্স দেন আরিফ চৌধুরী।
তৃতীয় স্ত্রী শাস্তার মা বলেন আমরা সন্তানের সাথে ভালোই মিল ছিল বিয়ে হয়েছে ২ মাস আগে কখনো ঝগড়াঝাটি দেখি নাই তবে গত সাপ্তাহ আমার মেয়েকে পচুর মারছে কিছু ছবি নিয়ে। এবং প্রাণে মেরে ফেলার ও হুমকি প্রদান করছে আবার কিছু হলেই এমপি শামীম ওসমানের ভয় দেখায়ব লে আমি আমি এমপির লোক আজ আমার মেয়েকে এভাবে জীবন দিতে হবে কল্পনাও করতে পারছিনা।
বাড়িওয়ালা আফতাব উদ্দিন বলেন আমার বাড়িতে গত একমাস আগে ভাড়া আসে তাদের মধ্যে তেমন কিছু চোখে পরেনি জানালা দিয়ে ঝুলন্ত দেখে দরজা ভেঙে ঢুকলে ঝুলন্ত লাশ দেখা যায়।
বিলম্ব করে ঘটনাস্থলে এসে বন্দর থানা তদন্ত ওসি আবু বক্কর বলে আমরা ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নিয়ে যাচ্ছি তদন্ত রিপোর্ট পেলে বলা যাবে।
এলাকাবাসী বলেন লক্ষ্মণখোলার এই আরিফের উত্থান মহিলা কাউন্সিলর সানিয়া সাউদের হাত ধরে পরে ধীরে ধীরে ছাত্রলীগ বনে যায়।