প্রায় ছয় মাস পর দলে ফিরেই বল হাতে ঝলক দেখালেন শ্রীলঙ্কার লেগস্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্কা। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে একাই তুলে নিলেন জিম্বাবুয়ের ৭টি (১৯ রানে) উইকেট। তার দুর্দান্ত গুগলি নৈপুণ্যে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতেছে লঙ্কানরা। শেষ ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৬২ বল আর ৮টি উইকেট হাতে রেখে হারিয়ে টানা দুটি জয় তুলে নিলো স্বাগতিকরা। এর আগে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার কলম্বোতে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই ছিল সফরকারীদের। জিম্বাবুয়ে যখন ৭.৪ ওভারে ৪০ রানে কোনো উইকেট না হারিয়ে খেলছিল, তখনই শুরু হয় বৃষ্টি। এরপর বৃষ্টি থামলে ভেজা পিচে যেন আচড়ে পড়ে জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররা। হাসারাঙ্গার গুগলিতে খেই হারিয়ে ৩ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। এরপর আবার বৃষ্টির হানা। তখন জিম্বাবুয়ের রান ৩ উইকেটে ৪৩। এবার আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে ওভার কমিয়ে খেলা নির্ধারণ করা হয় ২৭ ওভারে।
দ্বিতীয়বার বৃষ্টির পরও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। একের পর পর উইকেট হারাতে থাকে তারা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৪ বলে ২৭ রান করেন ওপেনার জয়লর্ড গাম্বি। আরেক ওপেনার তাকুদজওয়ানাশে কাইতানো দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ বলে ১৭ রান করেন।
শেষ দিকে এসে ১৭ বলে ১৪ রান করেন লিউক জংই। এছাড়া সিকান্দার রাজা ১১ বলে ১০ রান করেন। রানের খাতাই খুলতে পারেননি তিন ব্যাটার। অবশেষে ২২.৫ ওভারে ৯৬ রানেই গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। লঙ্কানদের হয়ে প্রথমবারের মতো ৭ উইকেট শিকার করেন হাসারাঙ্গা।
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় শ্রীলঙ্কা। দলীয় ১ রানের মাথায় ওপেনার আভিস্কা ফার্নান্দো আউট হয়ে যান রানের খাতা না খুলেই। আরেক ওপেনার শেভন দানিয়েল আউট হন ৩৮ বলে ১২ রান করে। এরপর অধিনায়ক কুশল মেন্ডিসের ঝোড়ো ফিফটিতে ম্যাচটি জিতে নেয় শ্রীলঙ্কা। ৫১ বলে ৬৬ রান করে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়েন লঙ্কান কাপ্তান। তার সঙ্গে ১৭ বলে ১৪ করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন সাদিরা সামারাবিক্রমা। অবশেষে ১৬.৪ ওভারে ২ উইকেটে ৯৭ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় লঙ্কানরা।