নির্বাচন এলেই ভোটারদের দ্বারে দ্বারে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে প্রার্থীরা। নাওয়া-খাওয়া বাদ দিয়ে দিন রাত ভোটারদের কাছে গিয়ে নানা প্রতিশ্রুতি দেন তারা। কিন্তু বিজয়ী হওয়ার পর পরই পাল্টে যায় এ চিত্র। নির্বাচনের পরে ভোটারদের কোন খোঁজ খবরই রাখেন না বিজয়ী প্রার্থীরা। এটাই যেন বাংলাদেশের আরও একটি সংস্কৃতি। কিন্তু সেই সংস্কৃতিকে মিথ্যা প্রমাণ করে দিলো নব নির্বাচিত হারুন-বুলেট-রবিন পরিষদ। সোনার বাংলা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বহুমুখী সমিতির কমিটির নির্বাচনে পূর্ণ প্যানেলে বিজয়ী হয় এ পরিষদ। শুক্রবার সোনার বাংলা মার্কেটে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর শনিবার (১৩ জানুয়ারী) পূর্ণ প্যানেল রজনীগন্ধা ফুল নিয়ে ছুটে যান ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। এসময় তারা ভোটারদের ফুলের শুভেচ্ছার পাশাপাশি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন। শুধু তাই নয়, তারা তাদের ইশতেয়ার অনুযায়ী সকল কাজে ভোটারদের সার্বিক সহযোগীতা তথা পাশে থাকারও আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে নব নির্বাচিত প্যানেলের সাধারন সম্পাদক সাঈদ আহমেদ রবিন বলেন, আমাদের প্রিয় ভোটারগণ বিপুলভোটে নির্বাচিত করেছে। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ আমরা তাদেরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমরা নির্বাচনের আগে ভোটারদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। নির্বাচনের মধ্যদিয়ে ভোটারদের সাথে আমাদের যে একটা মেলবন্ধন সৃষ্টি হয়েছে, আমরা এ মেলবন্ধন অটুট রেখেই সামনের দিকে এগিয়ে চলবো।
একই বিষয়ে নব নির্বাচিত সদস্য শংকর কুমার রায় বলেন, ভোট হচ্ছে ভোটারদের একটি পবিত্র আমানত। তারা সেই আমানত প্রয়োগ করে আমাদের তথা হারুন-বুলেট-রবিন পরিষদকে বিপুলভোটে বিজয়ী করেছে। আজ অর্থ্যাৎ নির্বাচনের পরদিন, ফুল হচ্ছে একটি পবিত্র জিনিস, আমরা একটি পবিত্র মন নিয়ে স্বচ্ছভাবে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করে যাচ্ছি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নব নির্বাচিত সভাপতি মো: হারুন অর রশিদ, সহ সভাপতি সভাপতি আব্দুল আলিম বুলেট, সদস্য মো: সহিদ হোসেন শেখ, মো: ছানাউল্লাহ্, মো: নাজিম হোসেন, একেএম জসীম উদ্দিন, মো: আকবর খাঁন, খন্দকার আবুল হোসেন, মো: সফিকুল ইসলাম ও মো: শাহীনুর রহমান।