রাজনীতি করা অপরাধ নয়। অন্য পার্টি করতেই পারে। সবাইকে আমার দল করতে হবে এরকম কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। যার যে ইচ্ছা সে সেটা করবে। রাজনীতি মহৎ পেশা। যদি এটাকে কেউ ধান্ধা হিসেবে না নেয়। যারা ধান্ধা হিসেবে নিয়েছে, স্থানীয় এবং জাতীয়ভাবে এটাকে তারা পচিয়ে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় উপস্থিত থেকে তিনি এ মন্তব্য করেন। নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে সিনেমন রেস্তেরাঁয় এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে শামীম ওসমান বলেন, বাচ্চা বাচ্চা ছেলেগুলোকে দিয়ে আগুন দেওয়া হচ্ছে। আমি তাদের ছবি দেখেছি। গাড়িতে আগুন দিচ্ছে, ককটেল মারছে। বিশেষ আইনে তাদের সাজা হয়ে যাবে। তাদের বাবা-মা আমার কাছে কাঁদা শুরু করে দিয়েছে। আদালত প্রমাণ দেখবে আর কিছু দেখবে না। সুতরাং যা হওয়ার হয়ে গেছে। সামনে যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখেন। আমরা চেষ্টা করবো নারায়ণগঞ্জের সবার ছেলে মেয়ে যেন ভালো থাকে। রাজনীতি করেন, সন্ত্রাসী কার্যক্রমে যাইয়েন না। আপনার জন্য এটা শুভকর হবে না। আমার এই কথাগুলো দুর্বল ভাববেন না। বড় বড় নেতার সাজা হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, আমি আল্লাহর কাছে প্রতিজ্ঞা করেছি, মাদক নির্মূল করতে হবে। আমি একটি ক্লিন নারায়ণগঞ্জ গড়তে চাই। আমি বোমা হামলা থেকে বেঁচে গেছি হয়ত এ কাজের জন্যই।
তিনি বলেন, একটা সংগঠন করা হবে, যার নাম হবে প্রত্যাশা। এতে সকল শ্রেণির মানুষ যেমন শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, ব্যাংক কমকর্তা, ছাত্র-ছাত্রী একসঙ্গে কাজ করবেন। প্রত্যেক ওয়ার্ডে এই সংগঠন থাকবে। যদি হাজার হাজার মানুষ মিলে মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই তাহলে কে ঠেকাতে পারবে। সংগঠনে আমাদের প্রধান সদস্যরা হবে তরুণ ও যুবকরা। এমন এক সমাজ গড়তে হবে যাতে ঘর থেকে মেয়েরা রাত ১১টায় বেরোলেও যেন নিজেকে নিরাপদ অনুভব করতে পারে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে শামীম ওসমান বলেন, আমি কাজ করবো, সঙ্গে আপনারাও আপনাদের দায়িত্ব পালন করুন। একটা সুন্দর সমাজ গড়তে আসুন আমরা সবাই মিলে কাজ করি। সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ যদি একসঙ্গে মিলে কাজ করি, আমি বিশ্বাস করি এক মাসের মধ্যে মাদক নারায়ণগঞ্জ থেকে নির্মূল হবে।