1. sajujournalist123@gmail.com : Selim Mahmud : Selim Mahmud
  2. admin@ganomaddhom.com : nvl5d :
  3. salemo1834949@gmail.com : Selim Mahmud : Selim Mahmud
ঘোষণা ছাড়াই বাড়ল ভোজ্যতেলের দাম, বেড়েছে আটার দামও - নারায়ণগঞ্জ আপডেট
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
নারায়ণগঞ্জে সংস্কারের পর নির্বাচনের দাবিতে মার্চ ফর ড. ইউনূস কর্মসূচি পালিত গাজায় ইসরাইলী গনহত্যায় ফিলিস্তিনি শহীদদের স্বরনে বন্দরে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত কর্মী ছাড়া নেতাদের দুই পয়সা মূল্য নেই : ফরিদ সিদ্ধিরগঞ্জে একটি ঝুটের গোডাউন ও দুটি দোকানে আগুন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে বলেন বাংলাদেশ মায়ের পিস্তল নিয়ে ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে সন্তানের হামলা, নিহত ২ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ১০০ একরের বেশি জমিতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস ইইউ ঘোষিত ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা দখলের বিষয়ে ইসরায়েলকে সতর্ক করেছে জার্মানি টানা পাঁচদিন মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির আভাস

ঘোষণা ছাড়াই বাড়ল ভোজ্যতেলের দাম, বেড়েছে আটার দামও

নারায়ণগঞ্জ আপডেট
  • Update Time : বুধবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৪
  • ৩০৯ Time View

সয়াবিন, আটা ও চিনিই নয়, ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পরপরই বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এ তালিকায় চাল, ব্রয়লার মুরগি ও গরুর মাংসও রয়েছে।

বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানো বা কমানোর কাজ ঘোষণা দিয়ে করলেও এবারে চুপিসারেই দাম বাড়াল।

কোনো ঘোষণা ছাড়াই প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ৪ টাকা করে বাড়িয়ে দিয়েছে বাজারজাতকারী কোম্পানিগুলো।

একইসঙ্গে প্রতি কেজি আটায় ৫ টাকা এবং ও চিনির দাম বেড়েছে ১৫ টাকা পর্যন্ত।

সয়াবিন, আটা ও চিনিই নয়, ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পরপরই বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এ তালিকায় চাল, ব্রয়লার মুরগি ও গরুর মাংসও রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার খুচরা দোকানি ও একাধিক সুপার শপ ঘুরে দেখা যায়, প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৩ টাকায়, যা নির্বাচনের আগ বিক্রি হয়েছে ১৬৯ টাকায়। ৫ লিটারের বোতলের দাম ৮২৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮৪৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

দাম বাড়িয়ে ৫ লিটারের বোতল নির্বাচনের আগে বাজারে ছাড়লেও নতুন দামের এক লিটারের সয়াবিন তেল নির্বাচনের পরই বাজারে এসেছে।

তেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলেছে, গত বছরের নভেম্বরে ডলারের দাম বেড়ে যায়। প্রতি ডলারের মূল্য ১১০ টাকা থেকে বেড়ে ১২২-১২৪ টাকা হয়ে যায়। ওই সময় ভোজ্য তেল পরিশোধন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের কাছে এই দাম সমন্বয়ের আবেদন করে গত নভেম্বরের ৯ তারিখ।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ট্যারিফ কমিশন ও ব্যবসায়ীরা মিলে বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করলেও নির্বাচন সামনে রেখে দাম বৃদ্ধির অনুমতি দেয়ার বিষয়টি আর এগোয়নি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখন ঋণপত্র (এলসি) খোলার জন্য ডলার কিনতে হচ্ছে ১২৬-১২৭ টাকায়, যে কারণে তারা দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন।

সাধারণত বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অনুমতি দেওয়ার পরই কোম্পনিগুলো বাজারে দাম বাড়ানো বা কমানোর ঘোষণা দিয়ে থাকে। এর আগে গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর তেলের দাম লিটারে ৫ টাকা কমিয়ে ১৬৯ টাকা করা হয়।

তেল, চিনি ও আটার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যম বলেন ‘ডলার ও আন্তর্জাতিক সরবরাহ পরিস্থিতির যে অবস্থা, তাতে দাম বাড়াতে না পারলে লোকসান করতে হবে। নির্বাচনের কারণে এ অবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। অবস্থা এখন এমন হয়েছে, দাম না বাড়ালে বাজারে পণ্য সরবরাহ করা মুশকিল হয়ে পড়বে।’
এক মুদি দোকানে বলেন, ‘তেলের দাম আরও বাড়াবে কোম্পানিগুলো। আমরা নির্বাচনের আগে ১৬৮ টাকা লিটারে সয়াবিন বিক্রি করেছি, এখন সেটা ১৭৩ টাকা। তারপরও ঠিকমতো সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। কোম্পানির লোকজন সরবরাহ কম দিচ্ছে এবং বলছে দাম আরও বাড়বে।’

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা নিরুপায় হয়েই দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন। এছাড়া নতুন করে যুক্ত হয়েছে বাড়তি ফ্রেইট চার্জ। লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচল সীমিত হয়ে পড়ায় পণ্য পরিবহনের সময় এবং খরচ বেড়ে গেছে, যার প্রভাবও বাজারের ওপর পড়ছে।

বসুন্ধরা ফুড অ্যান্ড মাল্টি ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের সেলস অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন বিভাগের প্রধান মো. রেদওয়ানুর রহমান গণমাধ্যম কে বলেন, ‘মূল সমস্যা ডলারের। সরকার-নির্ধারিত রেটের চেয়ে আমাদের বেশি দাম দিয়ে ডলার কিনতে হচ্ছে। এই খরচ সমন্বয় না করলে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করার সুযোগ থাকবে না।’

সয়াবিন তেলের পাশাপাশি দুই কেজির প্যাকেটের আটার মূল্যও বাড়িয়েছে বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। দুই কেজির প্যাকেটের আটার দাম ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। চিনির দামেও একই ধরনের অস্থিরতা। প্রতি কেজি প্যাকেটের চিনি বাজারে ১৪৮ টাকা মূল্য থাকলেও বিক্রেতারা সেটা খুলে বাজারে বিক্রি করছেন ১৫৫-১৬০ টাকায়। বাজারে কোনো প্যাকেটের চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। খোলা চিনি অনেক ক্ষেত্রে যে যা পারছে, ইচ্ছেমতো দামে বিক্রি করছে।

ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ১৫ জানুয়ারির বাজার বিশ্লেষণের তথ্য বলছে, এক মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজি আটার দাম ৪.৩৫ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি কেজি আটার প্যাকেট ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মো. রেদওয়ানুর রহমান বলেন, ‘লোহিত সাগরের জটিলতার কারণে আমাদের ওপর যে ধাক্কাটা আসবে, সেটা হয়তো আরও মাসখানেক সময় লাগবে, কারণ একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত স্টক রয়েছে আমাদের হাতে। ইতিমধ্যেই ফ্রেইট চার্জ ১০-১৫ শতাংশ বেড়েছে, কিন্তু এর চেয়েও বড় সমস্যা হচ্ছে জাহাজের শিডিউল পাওয়া যাচ্ছে। যার প্রভাবটা গমের ওপরই সবচেয়ে বেশি পড়বে।’

এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতার কারণে গত বছরের পুরো সময়ই চিনির বাজারে অস্থিরতা দেখা গেছে। আমদানি কমে যাওয়ায় বাজারে চিনির সরবরাহেও ঘাটতি রয়েছে। যে কারণে দাম বেঁধে দিয়েও সরকার পণ্যটির দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঢাকার বাজারে কোনো প্যাকেটের চিনি নেই। সব জায়গাতেই বিক্রি হচ্ছে খোলা চিনি। দু-একটি কোম্পানি কিছু প্যাকেটের চিনি সরবরাহ করলেও তার মোড়কে যে দাম, তা দিয়ে দোকানিদের লাভ থাকে না। সে কারণে ১৪৮ টাকা মূল্যের চিনির প্যাকেট কেটে ১৫৫-১৬০ টাকায় বিক্রি করছেন দোকানিরা। খোলা চিনিও একই দামে বিক্রি হচ্ছে।

তেল, আটা ও চিনির বাজারে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তাকেও ছাড়িয়ে গেছে চালের বাড়তি দাম। নির্বাচনের সপ্তাহখানেক পর হঠাৎ করেই চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৬ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। অথচ মাত্রই আমন মৌসুমের ধান কাটা শেষ হয়েছে। যেখানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ১.৭০ কোটি টনের মতো চাল সরবরাহ চেইনে যুক্ত হওয়ার কথা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর ২০ লাখ লিটার ভোজ্যতেল ও ২০ লাখ লিটার চিনির চাহিদা রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে আগামী রমজানে ভোক্তাদের ওপর আরও চাপ তৈরি হবে; যে কারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাজারে নিয়ন্ত্রণে দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

এই পরিস্থিতিতেই খুচরা বিক্রেতারা জানান, মোটা চাল সপ্তাহখানেক আগেও বিক্রি হয়েছে ৪৮-৫০ টাকায়, যেটা এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৪ টাকায়। মাঝারি মানের চিকন চালের দাম ৫৫-৫৯ টাকা থেকে বেড়ে ৬০-৬২ টাকা এবং মিনিকেট ও নাজিরশাইলের মতো চিকন চাল ৬২-৭৫ টাকা থেকে বেড়ে ৬৮-৮০ টাকা হয়েছে।

নির্বাচনের আগে থেকে প্রভাব পড়তে শুরু করলেও গরুর মাংসের দাম নির্বাচনের পরই মূলত ঢাকায় ৬৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৭০০-৭৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৮০-১৯০ টাকা থেকে বেড়ে ২০০-২১০ টাকা হয়েছে। ডিমের দামও এ সময়ে প্রতি ডজন ১২৫-১৩০ টাকা থেকে বেড়ে ১৩০-১৩৫ টাকায় উঠেছে।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু) গণমাধ্যম কে বলেন, ‘পণ্যের মজুতদারির মাধ্যমে কেউ যাতে কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারে, সেজন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। ইতিমধ্যেই ভোক্তা অধিদপ্তরকে মার্কেট সার্ভেলেন্স বাড়ানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

আরও সংবাদ

আজকের দিন-তারিখ

  • শনিবার (বিকাল ৩:৪৪)
  • ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
  • ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)
©২০২৩ সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত নারায়ণগঞ্জ আপডেট
Developed BY RIAZUL