নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সিদ্ধিরগঞ্জের ঘরে জমা ‘গ্যাসের আগুনে’ দগ্ধ হয়েছেন ছয়জন৷ নবজাতককে দেখতে ঘরটিতে জড়ো হয়েছিলেন এই স্বজনরা।
তারা রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন৷ তাদের মধ্যে এক নারী আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে আছেন৷
বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাঘপাড়া এলাকায় একটি টিনশেড বাসায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক।
এ ঘটনায় দগ্ধরা হলেন- সুখী আক্তার (৩৩), তার মেয়ে সাদিয়া আক্তার (১০), বোন জান্নাতি আক্তার (১৮), ভাই আরিফ হাওলাদার (২১), ফুফাতো বোন রহিমা আক্তার (৩২), রহিমার মেয়ে রিতু (১৩)৷
দগ্ধ রহিমার স্বামী জাহাঙ্গীর হাওলাদার বলেন, তারা এবং সুখীর পরিবার পাশাপাশি বাসায় ভাড়া থাকেন৷ সুখী দুই সপ্তাহ আগে সন্তানের জন্ম দেন৷ তাকে দেখতেই সবাই গত রাতে সুখীর ঘরে ছিলেন৷ এ সময় আগুনের ঘটনা ঘটে৷শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, রহিমা আক্তারের শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছে৷ তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন৷
এছাড়া সুখী ও জান্নাতি যথাক্রমে ১৭ শতাংশ ও ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়ে ওয়ার্ডে ভর্তি৷
বাকি তিনজনের মধ্যে সাদিয়ার ৫ শতাংশ, আরিফের ৩ শতাংশ এবং রিতুর ১০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন৷ প্রাথমিক চিকিৎসার পর তারা অবজারভেশনে আছেন বলে জানান এ চিকিৎসক৷
ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, “প্রাথমিকভাবে ঘরে থাকা লাইনের চুলা থেকে জমা গ্যাসের কারণে আগুনের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হলো তা নিয়ে কাজ করছে পুলিশ৷ ”
এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।