স্টাফ রিপোটার ঃ
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলীর ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামে লম্পট আমির হোসেন গাজী কর্তৃক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় ৮ দিন অতিবাহিত হলেও ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ ম্যানেজ করায় মামলা নেয়নি পুলিশ। এটাকে পুঁজি করে হাশেম এর নেতৃত্বে একটি চক্র ধর্ষকের পক্ষ নিয়ে ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্ঠা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তদন্ত কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার এসআই গিয়াসউদ্দিন ও এএসআই সিরাজ মাতাব্বর ঘটনাস্থলে গেলেও ধর্ষকের পক্ষ থেকে মোটা অংকের টাকা নেওয়ায় এখনো পর্যন্ত মামলা নেয়নি পুলিশ এমনটাই অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের।
এ ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই গিয়াসউদ্দিন এর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে এখন বৃষ্টি হচ্ছে পরে ফোন দেন বলে মোবাইল ফোনের সংযোগ বিছিন্ন করে দেন।
থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নাজমা আক্তার (ছদ্মনাম) স্বামী মোঃ নুরুল হক (ছদ্মনাম) সাং- রাধানগর, পোঃ বক্তাবলী, থানাঃ ফতুল্লা, জেলা: নারায়ণগঞ্জ। থানায় হাজির হইয়া বিবাদী- মেঃ আমির হোসেন গাজী (৪৫), পিতাঃ আঃ বারেক গাজী, সাং- রাধানগর, পোঃ বক্তাবলী, থানা: ফতুল্লা, জেলা: নারায়ণগঞ্জ এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করিতেছি যে, উল্লেখিত বিবাদী আমার প্রতিবেশী হয়। বক্তাবলী প্রসন্ননগর খাজা মার্কেটে বিবাদীর গ্যাসের দোকান আছে। আমি বিবাদীর নিকট হইতে প্রায় সময় সিলিন্ডার এলপি গ্যাস ক্রয় করিতাম। গ্যাস ক্রয় করার সময় আমার শিশু মেয়ে- নুরুননাহার (ছদ্মনাম) (৮) আমার সাথে বিবাদীর দোকানে যাইতো এবং পুনরায় আমার সাথে চলিয়া আসতো। সে সুবাদে বিবাদী আমার মেয়েকে চিনতো এবং প্রায় সময় রাস্তা ঘাটে দেখা হইলে আমার মেয়েকে বিভিন্ন সময়ে মজা দিবে বলিয়া তাহার সহিত যাইতে বলে। বিষয়টি আমার মেয়েকে আমাকে জানাইলে, বিবাদী আমাদের প্রতিবেশী হওয়ায় আমি বিষয়টি আমলে নেই নাই। এরই মধ্যে অদ্য ইং ৩১/০১/২০২৪ তারিখ দুপুর আনুমানিক ০১:৪৫ ঘটিকার সময় আমার মেয়ে- নুরুননাহার (৮) রাধানগরস্থ তাহার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মহিলা মাদ্রাসা হইতে আমার বাসায় ফেরার পথিমধ্যে রাধানগর দক্ষিণ পাড়া পাকা রাস্তার ওপরে পৌছাইলে উল্লেখিত বিবাদী আমার মেয়েকে রাস্তার মধ্যে পাইয়া মজা দিবে বলিয়া প্রলোভন দেখাইয়া ও ফুসলাইয়া রাধানগর দক্ষিণ পাড়া সাকিনস্থ রাস্তার পাশে জনৈক রফিকের ভিটাও উপর নির্মিত পরিত্যাক্ত একটি ত্রিপলের ঘরের ভিতরে নিয়া বিবাদী তাহার অবৈধভাবে তাহার কু-কামনা চরিতারর্থ করার অসৎ উদ্দেশ্যে আমার মেয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেয় এবং আমার মেয়ের পরিহিত পায়জামা খুলিয়া আমার মেয়েকে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করতঃ আমার মেয়ের সহিত ধস্তাধস্তি শুরু করে। ঘটনার সময় আমার মেয়ে নিজেকে বাঁচানোর জন্য ডাক-চিৎকার শুরু করিলে, আশেপাশের লোকজন ও সাক্ষীরা আগাইয়া আসিতে থাকিলে বিবাদী ঘটনাস্থল হইতে দৌড়াইয়া পালাইয়া যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন ও সাক্ষীরা আমার মেয়েকে আমার বাসায় নিয়া আসে এবং ঘটনার বিষয়টি আমি আমার মেয়ের নিকট হইতে ও সাক্ষীদের নিকট হইতে বিস্তারিত অবহিত হইয়া থানায় আসিয়া অত্র অভিযোগ দায়ের করিলাম।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার এএসআই সিরাজ মাতাব্বর বলেন,ঐ ঘটনার তদন্তকারী হচ্ছেন গিয়াস স্যার। আমি স্যারের সাথে সেখানে গিয়েছিলাম। তবে ঘটনার সত্যতা নিয়ে সন্দিহান। তবুও তাদেরকে বলা হয়েছিলো থানায় এসে ওসি স্যারের সাথে কথা বলার জন্য কিন্তু তারা আসেননি।