রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নারী-শিশুসহ এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
এরমধ্যে ৪১ জনের মরদেহ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত হয়নি আরও ৫ জনের মরদেহ। পরিচয় নিশ্চিত হয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে ৩৮টি মরদেহ।
শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে অগ্নিদগ্ধ রোগীদের দেখতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান মন্ত্রী।
বেইলি রোডের আগুন নিয়ে যা লিখলো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম
‘পোড়া ভবন দেখে এখনো শরীর কাঁপছে’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০টি ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৬টি মরদেহ এসেছে। এ দুই হাসপাতালে আরও ১২ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা কেউই শঙ্কামুক্ত নন। আরও ৫টি মরদেহ আছে যেগুলো শনাক্ত করা যায়নি।
তিনি বলেন, পুড়ে যাওয়া সবাই কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়ায় মারা গেছে। একটা বদ্ধ ঘরে থেকে প্রবেশ করতে না পারায় ধোঁয়া শ্বাসনালীতে চলে যায়। মারা যাওয়া প্রত্যকেরই এমনটা হয়েছে। যাদের বেশি হয়েছে, দুঃখজনকভাবে তারা বাঁচতে পারেননি। এখনো যারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন, কেউই শঙ্কামুক্ত নন। বিষয়টি নিয়ে আমরা আবারও বসবো।প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আহতদের খোঁজ রাখছেন প্রধানমন্ত্রী। চিকিৎসায় যা যা দরকার সব ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। এসময় হাসপাতালে ভিড় না করার জন্য অনুরোধ জানান মন্ত্রী।