শুরুর দিকে অল্প সময়ের ব্যবধানে দুবার বল জালে পাঠিয়ে লিড নেয় বার্সেলোনা। তাদের শক্ত অবস্থান নড়বড়ে হয়ে যায় নাপোলি বিরতির আগেই ব্যবধান কমানোয়। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ঠাসা লড়াইয়ের শেষদিকে কাতালানদের সমস্ত শঙ্কা দূর করে দেন রবার্ত লেভানদোভস্কি। এতে চার বছর পর উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে জাভি হার্নান্দেজের শিষ্যরা।মঙ্গলবার রাতে ইউরোপের সর্বোচ্চ ক্লাব আসরের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ৩-১ গোলে জিতেছে বার্সা। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-২ গোলের অগ্রগামিতায় স্প্যানিশ লা লিগার শিরোপাধারীরা পা রেখেছে শেষ আটে।প্রথমার্ধে তিন মিনিটের মধ্যে গোলের উৎসব করেন স্বাগতিকদের ফারমিন লোপেজ ও জোয়াও কানসেলো। আমির রাহমানি একটি গোল শোধ করে নাপোলিকে দেন ম্যাচে ফেরার রসদ। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে গোলরক্ষক অ্যালেক্স মেরেতের দারুণ কিছু সেভে সফরকারীদের আশা টিকে থাকে। তবে পোলিশ স্ট্রাইকার লেভানদোভস্কি নির্ধারিত সময়ের সাত মিনিট বাকি থাকতে লক্ষ্যভেদ করলে বার্সার জয় নিশ্চিত হয়ে যায়।
২০১৯-২০ মৌসুমের পর এই প্রথম বার্সেলোনা পেয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট। সেবার অবশ্য শেষ আটের লড়াইয়ে জার্মান পরাশক্তি বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ৮-২ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল তারা। পরের মৌসুমে পিএসজির কাছে হেরে শেষ ষোলোতে থামে তাদের পথচলা। আর গত দুই মৌসুমে চরম হতাশাজনক পারফরম্যান্সে গ্রুপ পর্বের বাধাই পাড়ি দিতে ব্যর্থ হয়েছিল বার্সা।
জমজমাট ম্যাচে বল দখলের লড়াইয়ে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও আক্রমণে আধিপত্য করে জাভির দল। তারা গোলমুখে ২৪টি শট নিয়ে ১০টি রাখে লক্ষ্যে। অন্যদিকে, ইতালিয়ান সিরি আর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন নাপোলির ১৪টি শটের মধ্যে কেবল চারটি ছিল লক্ষ্যে।
চলতি মৌসুমে কেবল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জেতারই সত্যিকারের সম্ভাবনা রয়েছে বার্সেলোনার। যদিও সেটাকে বাস্তবে রূপ দেওয়া ভীষণ কঠিন হবে তাদের জন্য। কারণ ইতোমধ্যে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার সিটি, বায়ার্ন, পিএসজি ও আর্সেনালের মতো ক্লাব। আরও অপেক্ষায় আছে ইন্টার মিলান-অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ ও বরুশিয়া ডর্টমুন্ড-পিএসভি আইন্দহোফেন।স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়ালের কাছে পরাস্ত হওয়ার পর কোপা দেল রের শেষ আট থেকে ছিটকে যায় বার্সা। আর লা লিগার শিরোপা ধরে রাখার দৌড়েও বেশ পিছিয়ে রয়েছে তারা। ১০ ম্যাচ বাকি থাকতে শীর্ষে থাকা রিয়ালের চেয়ে ৮ পয়েন্ট পিছিয়ে তিন নম্বরে অবস্থান তাদের।