নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেছেন, মানুষের জীবন নিয়ে ব্যবসা হতে পারে না। রেস্টুরেন্টগুলো আইন অনুযায়ী যা যা থাকার দরকার তা যেন রাখে। আমরা দেখেছি রেস্টেুরেন্টগুলো আবাসিক এলাকায় করা হচ্ছে। বেইলি রোডের মতো দু:খজনক ঘটনা যেন নারায়ণগঞ্জে না ঘটে এজন্য আমাদের টিম কাজ করছে। ক্রমান্বয়ে রেস্টুরেন্টগুলো আবাসিক ভবন থেকে বাইরে স্থানান্তর করা হবে। রেস্টেরেন্ট রেস্টুরেন্ট-এর জায়গায় থাকবে। তাদের সকল দফতরের ছাড়পত্র আছে কিনা আমরা তা দেখবো।শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ি, ভোক্তার স্বার্থে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করি’- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিবসটি উপলক্ষে আদালতপাড়ায় র্যালি বের করা হয়।এ সময় জেলা প্রশাসক আরো বলেন, রমজানে ব্যবসায়ীদের বলবো- যার যার অবস্থান থেকে কম লাভ করে প্রকৃত খাবারটা মানুষকে দেন। ভোক্তার যে অধিকার তা যেন সংরক্ষণ হয়, সেদিকে সবাই খেয়াল রাখবেন। আমরা নিজেরাই ভোক্তা আবার নিজেরাই বিক্রেতা। আমরা কেউ একটি পণ্য বিক্রি করি আবার অন্য একটি পণ্য ক্রয় করি। কোনো না কোনোভাবে প্রত্যেকেরই কিন্ত অধিকার খর্ব হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, জেলা প্রশাসক নয়; রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে অনুরোধ করবো প্রত্যেকে যেন যার যার ব্যবসাটা সঠিকভাবে করি। আমরা ন্যায্য মূল্য রাখি। ভেজালমুক্ত নির্ভেজাল খাবার যেন মানুষ খেতে পারে সেই উদ্যোগটা গ্রহণ করি।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাকিব আল রাব্বির সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: সেলিমুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহসভাপতি ও জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সদস্য বিল্লাল হোসেন রবিন, নারায়ণগঞ্জ সুগার অ্যান্ড ওয়েল মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি শংকর সাহা, ক্যাব, নারায়ণগঞ্জ’র সাধারণ সম্পাদক কাজী দলিল উদ্দিন দুলাল, হোটেল-রেস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি শাহীনসহ আটা-ময়দা মালিক সমিতি, চাল আড়ৎদার মালিক সমিতি, ড্রাগ অ্যান্ড কেমিস্ট ব্যবসায়ি সমিতি, নিতাইগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতি, কালিবাজার ব্যবসায়ি সমিতি, দিগুবাবু বাজার ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।