নারায়ণগঞ্জ আপডেট :
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি বীরমুক্তিযোদ্ধা একেএম সেলিম ওসমান বলেছেন,সেই যে নির্বাচন করে গেলেন আর তো আইলেন না। এটা স্বাভাবিক কথা। অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময় ছিল। সরকার গঠনের পরই সংসদ শুরু হয়ে গেল। আমি মাত্র ১৮দিন সময় পেয়েছিলাম নির্বাচন করার জন্য। এই অল্প সময়ের মধ্যে বন্দরের মানুষ আমার জন্য অনেক কিছু করেছেন। সুতরাং ভালবাসার মানুষের কাছে আমাকে আসতেই হবে। সামনে উপজেলা নির্বাচন। সবাই নির্বাচন করার জন্য আগ্রহী। তাই আমার বন্দরের জনপ্রতিনিধিদের সবাইকে আমি ডাকলাম। সবাই কথা বললেও একটা মানুষ কথা বলেনা। সেটা হল আমার রশিদ ভাই। আমি সবাইকে বললাম আমাকে যদি সমর্থন দিতে বল তাহলে আমি পুরনো দুইজনকে সমর্থন দিব। সেটা হচ্ছে রশিদ ভাই আর সানু। সেদিনের কথাটা অনেকেই বুঝতে পারে নাই। আমার ৫টা চেয়ারম্যান আমার সন্তানের মতই কাজ করেছে। এদের মধ্যে ৪ জনই আমার অন্তরে চলে এসেছে। ৪ জনের মধ্যে উপজেলার দায়িত্ব নেয়ার মত কেউ থাকত সেখানে আমার সংগ্রামী সালাম উপযুক্ত ছিল। তাকেই দেয়া উচিৎ ছিল সুন্দর ইয়াং একজন বক্তা তাকেই দেয়া উচিৎ ছিল। কারন সে বঙ্গবন্ধুর একজন আদর্শের সৈনিক। আমি যখন তাদেরকে আহ্বান করলাম আমরাতো মরে যাব তোমরা তো আরো বাচবা। তোমাদের কাছে তো আরো আড়াই বছর সময় থাকবে। চেয়ারম্যানী আরো করতে পারবা। যদি তোমরা মনে কর চেয়ারম্যানী অব্যাহতি দিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান হইবা তাহলে তো আমার এখন থেকে চেয়ারম্যান খুজতে হবে। তবে ইতিমধ্যে একটা ইউনিয়নে আমি চেয়ারম্যান খুজা শুরু করে দিছি। এখন দুইজন আমার অমতে নির্বাচন করার চিন্তা ভাবনা করছে। একজন তো রাজাকারের সন্তান। আমি বলি না ওনিই প্রমান করে দিয়েছেন সে রাজাকারের সন্তান। মানুষের জন্য কাজ কর আগের পাপ ভুলে যাও। পাপে বাপেরেও ছাড়ে না।
শনিবার ৩০মার্চ ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে বন্দর উপজেলার জনপ্রতিনিধিবৃন্দ,আ’লীগ ও জাতীয়পার্টি নেতৃবৃন্দের সাথে উন্নয়নমুলক মতবিনিময় সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন,মাকসুদ সাহেব আমি এতগুলো মানুষের সামনে আবার আপনাকে আমি বললাম আল্লাহর কাছে মাপ চান। এবং আপনার দায়িত্বে আপনি ফিরে আসেন। আমি আপনাকে কিছু বলব না। মনে রাখবেন আমরা মুক্তিযোদ্ধা। যদি ভালই ভালোই কথা শুনবেন তো শুনবেন না হলে মুগুর কিভাবে বানাতে হয় এটা আমি জানি। আমি কথা দিলাম আপনি আগামীকাল থেকে উড্ড করেন। ৪ জন চেয়ারম্যান যেভাবে আমার কথা শুনে এখানে এসেছেন আপনিও আসেন। আপনার এতটাকা কোথা থেকে হল মাকসুদ সাহেব। আপনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা দেওয়া শুরু করেছেন। আমার কাছে হিসাব আছে প্রায় এ পর্যন্ত ৩ কোটি টাকা খরচ করেছেন। ওইদিন নাইরে নাতি খাবলাইয়া খাবলাইয়া খাবি। আপনি ভুলে যাবেন না বাংলার মানুষ আপনাদের ক্ষমা করবে না। যদি আপনি আপনার রাজাকার পরিচয়টা দেন। আপনি আমার সন্তানের মত থেকে চেয়ারম্যানের বাকি দিনগুলি শেষ করেন। আমি আপনাকে নিষেধ করলাম আমার ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমার মৃত্যু হলেও আপনাকে ছাড়বে না। আপনি কেন অনুমতি নিলেন না কেন আলোচনা করলেন না। আপনি উপজেলা চেয়ারম্যান হবেন। ওইদিন ভুলে যান।
এমপি সেলিম ওসমান বহিস্কৃত বিএনপি নেতা আতাউর রহমান মুকুলকে উদ্দেশ্য করে বলেন,আরেকজন আমার অত্যন্ত প্রিয় মানুষ। যিনি রশিদ ভাইয়ের আগে উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। সব কিছুরই একটা সময় আছে। তিনি আমার কাছে গিয়েছিলেন। আমি তাকে বলেছি আপনি অত্যন্ত ভালো মানুষ। মানুষ আপনাকে সম্মান করে। আপনাকে বিভিন্ন স্কুলের সভাপতি বানিয়ে দিয়েছি। আপনি আপনার মান সম্মান নিয়ে বাকি জীবনটা বেচে থাকেন সম্মান নিয়ে। আর আপনি রাজনীতির পথে হাইটেন না। আমাদের দেখতে বৃদ্ধ দেখলেও মনে রাখবেন বাঘের থাবা কিন্তু কোন মুক্তিযোদ্ধার যায় না। রশিদ ভাই কখনো নির্বাচন করতে চায় নাই। আমাকে এক পর্যায়ে বলতে হয়েছে আপনি যদি নির্বাচন না করেন আমি সংসদ সদস্য থেকে অব্যাহতি নিব। কারন আমি কোন রাজাকারের সাথে বসে কাজ করতে পারব না। তারপরও আপনাদের মাধ্যমে মাকসুদ সাহেবকে দাওয়াত পাঠালাম আপনি আপনার এলাকায় একটা সভা ডেকে রশিদ ভাইকে সমর্থন করেন। আল্লাহ আপনাকে সম্মান দিবে।
ধামগড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গনি ভূইয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এমএ রশিদ,উপজেলা আ’লীগের সহ সভাপতি ও মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এমএ সালাম,উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান,সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য মাসুম আহমেদ,জেলা জাতীয়পার্টির সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু,বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদ,কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধান,ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন প্রমূখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ফয়সাল কবির,বন্দর ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাড.তাজুল ইসলাম,কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক ইব্রাহিম কাশেম,মুছাপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক জনি,মদনপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক নাজিম উদ্দিন,ব্যবসায়ী চানমিয়া,ব্যবসায়ী ও আ’লীগ নেতা হাজী মাঈনুদ্দিন তুষার,আ’লীগ নেতা রোমান হোসাইন,জাতীয়পার্টি সভাপতি বাচ্চু মিয়া,ছাত্রলীগ নেতা আলীনুর,যুবলীগ নেতা অহিদুজ্জামানসহ স্থানীয় আ’লীগ,জাতীয়পার্টি নেতৃবৃন্দ।