ভারতের নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, পার্লামেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সঙ্গে প্রত্যেক প্রার্থীকে বাধ্যতামূলকভাবে একটি এফিডেভিট জমা দিতে হয়, যেখানে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলার বৃত্তান্ত, সম্পদ ও আয়ের বিস্তারিত তথ্য যোগ করতে হয়।ভারতের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে লোকসভার সদস্যপদ ধরে রাখতে ওয়ানাড আসনে মনোনয়নপত্র ও সম্পদের বিবরণী জমা দিয়েছেন। এই বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে, তার সম্পদের মোট মূল্য মান ২০ কোটি ৪০ লাখ রূপি।আজ বৃহস্পতিবার ভারতের গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানানোহয়। ভারতের নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, পার্লামেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সঙ্গে প্রত্যেক প্রার্থীকে বাধ্যতামূলকভাবে একটি এফিডেভিট জমা দিতে হয়, যেখানে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলার বৃত্তান্ত, সম্পদ ও আয়ের বিস্তারিত তথ্য যোগ করতে হয়।টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, রাহুল গান্ধী গতকাল বুধবার তার এফিডেভিট জমা দেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, তার বিরুদ্ধে ১৮টি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে।ইন্ডিয়া টুডে জানায়, পুঁজিবাজারে তিনি চার কোটি ৩০ লাখ রূপি বিনিয়োগ করেছেন। পাশাপাশি মিউচুয়াল ফান্ডে জমা দিয়েছেন আরও তিন কোটি ৮১ লাখ রূপি। তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আছে ২৬ লাখ ২৫ হাজার রূপি।গান্ধী পরিবারের সন্তান রাহুলের (৫৩) অন্যান্য সম্পদের মধ্যে আছে ১৫ লাখ ২০ হাজার রূপি মূল্যমানের স্বর্ণ বন্ড। জাতীয় সঞ্চয়পত্র, ডাকঘরের বন্ড ও ইনস্যুরেন্স পলিসি মিলিয়ে তার বিনিয়োগের পরিমাণ ৬১ লাখ ৫২ হাজার রূপি। সম্পদের বিবরণী মতে, রাহুলের কাছে চার লাখ ২০ হাজার রূপি মূল্যমানের গয়না রয়েছে।
সব মিলিয়ে, রাহুলের স্থায়ী সম্পদের পরিমাণ ১১ কোটি ১৪ লাখ এবং অস্থায়ী সম্পদের পরিমাণ নয় কোটি ২৪ লাখ।রাহুল গান্ধীর অপরিশোধিত দেনার পরিমাণ প্রায় ৪৯ লাখ ৭০ হাজার রূপি।
ভারতের কেরালা রাজ্যের ওয়ানাড আসন থেকে টানা দ্বিতীয়বারের মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী। ২০১৯ সালে তিনি উত্তর প্রদেশের আমেথি আসনে স্মৃতি ইরানীর কাছে পরাজিত হন। তবে কেরালার এই আসন জিতে পার্লামেন্টে স্থান পান রাহুল।
এবারের নির্বাচনে ওয়ানাডে রাহুলের প্রতিদ্বন্দ্বীরা হলেন বিজেপির পি সুরেন্দ্রান ও কমিউনিস্ট পার্টির মহাসচিব ডি রাজার স্ত্রী অ্যানি রাজা।