নারায়ণগঞ্জের সব সমস্যা এক সাথে নয়, পার্ট বাই পার্ট সমাধান করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান।
সোমবার (৮ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমার বড় ভাই যানজট মুক্ত করার জন্য টাকা দিয়েছে। আমার প্রশ্ন এ টাকা দিতে হবে কেন।সরকারই তো টাকা দেয়। এখন যদি সিটি করপোরেশনের মেয়র বলে ফুটপাতের মালিক সিটি করপোরেশনের, এটা সত্যি। আমি বলেছি হকার বসলে সব জায়গায় বসবে না বসলে কোথাও বসবে না। আমি সাপোর্ট দিতেও রাজি না, পুরো শহরকে বন্ধ করতেও রাজি না।সিটি করপোরেশনকে এর সুরাহা বের করতে হবে। যানজটের দুটো সেক্টর আছে। সিটি করপোরেশন ও তাদের টিম আছে। সিটি করপোরেশন মানে শুধু আইভী না।
সিটি করপোরেশন প্রশাসনকে তাগিদ পত্র দেবে।
শামীম ওসমান বলেন, রেললাইনের জায়গা একয়ার করা শুরু হয়ে গেছে। আমি মেয়রকে বললাম আমাকে কাগজ দিতে। তিনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন। নারায়ণগঞ্জে যদি দশ মিনিট পরপর ট্রেন ঢোকে তাহলে শহর নষ্ট হয়ে যাবে।
তাই এটা দেখতে হবে।আমি সিটি করপোরেশনের কাছে অনুরোধ করবো। আমাদের ডিএনডি খাল হচ্ছে। ড্রেনগুলো এখানে কানেক্টেড করতে হবে। নয়ত পানি পাস করতে পারবে না।
আজ এখানে প্রশাসনের লোক থাকলে ভাল হত উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি মনে করি সেলিম ভাই যে প্রস্তাব দিয়েছে সে অনুযায়ী আমরা আলোচনায় বসি। কালিরবাজারে এখানে একটি ভবন পড়ে আছে। আমি পার্লামেন্টেও বলেছি, প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখিতও দিয়ে এসেছি। এখানে যেন হার্ট ও নিউরো ইনিস্টিউট করা হয়। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করলে এটা এক মাসের ব্যাপার।নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিল্লাহ হোসেন রবিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবনের সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ ২ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, শওকত হাসেম শকু, কামরুল হাসান মুন্নাসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ।