নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ৮ মে বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে উত্তাপ হয়ে উঠেছে ভোটের মাঠ। এবার উত্তাপ এর মধ্যেই ভোটের মাঠে নতুন করে আলোচনায় জন্ম দিয়েছে বিএনপি। নির্বাচনের শুরু থেকেই বিএনপি ঘোষণা দিয়েছে তারা এই উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।
এদিকে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও চেয়ারম্যান প্রার্থীদের পক্ষে প্রকাশ্যে মাঠে নামতে দেখা গেছে বিএনপির নেতাকর্মীদের। বিশেষ করে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি চিহিৃত রফিক রাজাকারের পুত্র মাকসুদের পক্ষে জোরালো ভাবে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন মহানগর ও বন্দর উপজেলা বিএনপির মুলধারার নেতাকর্মীরা।
অপর দিকে বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দীনের মৃত্যুতে ভোটের মাঠে নতুন করে দুশ্চিনাতায় পড়েছে আওয়ামীলী। যদিও মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ঘোষণা দিয়েছেন। নির্বাচনে বিএনপির কেউ অংশগ্রহণ করলে কিংবা কোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করলে তাকে বহিস্কৃত হতে হবে। অথচ মহানগর বিএনপির অনুগামীরাই প্রকাশ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী রাজাকারপুত্র মাকসুদের পক্ষে মাঠে নেমেছেন।
রাজাকারপুত্র মাকসুদ হোসেন নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি। তার নির্বাচনী প্রচারণায় দেখা যাচ্ছে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের একাংশের নেতা কর্মীদের। যাদের মধ্যে অন্যতম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী নুরু উদ্দীন, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুল্লাহ বাদল, বন্দর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুণ অর রশিদ লিটন, নারায়ণগঞ্জ জেলা মৎসজীবী দলের সাবেক সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম সহ বিভিন্ন স্তরের কর্মীরা।
এমন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলেও রহস্যজনক কারণে মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া বা তাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরণের সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কী না। এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তাই রাজনৈতিক ও নির্বাচনী মাঠে আলোচনা-সমালোচনার ঝঁড় উঠেছে। এতে করে সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন। রাজাকারপুত্র মাকসুদ হোসেনের টাকার কাছে বিক্রি বিএনপি।