জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শুরুতেই থাকছেন না সাকিব আল হাসান। শেষ দিকে যোগ দিলেও ঠিক কতো ম্যাচের জন্য থাকছেন তা নিয়েও ছিল অনিশ্চয়তা। তবে এই সিরিজে তাকে কোচ চন্ডিকা হাতুরুসিংহে দুই ম্যাচে চেয়েছেন বলে জানালেন সাকিব। অন্যদিকে তাকে কমপক্ষে তিন ম্যাচের জন্য চেয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।দুদিন আগেই আসন্ন সিরিজের জন্য প্রস্তুতি ক্যাম্পের ১৭ জন ক্রিকেটার ডাকে বিসিবি। সেই ক্যাম্পে অলরাউন্ডার সাকিব না থাকায় অনেক আলোচনাই হয়। পরে এ বিষয়টি খোলাসা করেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। সিরিজের শেষ দিকে টাইগারদের ডেরায় যোগ দিবেন বলে জানান তিনি। এর আগে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলবেন তিনি।জিম্বাবুয়ে সিরিজে না খেলে সাকিব প্রিমিয়ার লিগে খেলবেন জানার পর সামাজিকমাধ্যমে তাকে নিয়ে অনেক সমালোচনা শুরু হয়। বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সাকিব সেখানে এক অনুষ্ঠানে এ সব সমালোচনার জবাব দেন। কেন সিরিজের শেষ দিকে খেলবেন তাও খোলসা করেন এই অলরাউন্ডার।জিম্বাবুয়ে সিরিজ অবশ্যই খেলব। দেশে হয়তো এই নিয়ে একটা কনফিউশন চলছে… আসলে কোচ, অধিনায়ক সবার সঙ্গেই কথা বলে রেখেছিলাম। কোচ বলেছিলেন দুইটা ম্যাচ খেললেই হবে। অধিনায়ক ও নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলি, তারা বলেছে দুইটা না তিনটা ম্যাচ খেল। আমি বলেছি সমস্যা নেই,’ বলেন সাকিব।আর কেন প্রিমিয়ার লিগে খেলবেন সেটাও পরিষ্কার করেন এই অলরাউন্ডার, ‘আসলে এইগুলো আলোচনার মাধ্যমেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যেহেতু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দুইটা ম্যাচ থাকবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ তিন ম্যাচ খেলার আগে। সেহেতু দুইটা ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকবে এছাড়া প্রস্তুতিটাও ভালো হবে সে কারণে আসলে এই দুইটা ম্যাচ খেলা।’তবে সামাজিক মাধ্যমে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তার না খেলার বিষয়ে আলোচনা-সমালোচনা দেখে হাসি পায় বলেও জানান তিনি, ‘সামাজিকমাধ্যমে এসব দেখলে আমার একটু হাসিই পায়। যা হয়েছে আলোচনার মধ্যেই হয়েছে। কারণ আমাদের অন্যান্য খেলোয়াড়দেরও দেখা জরুরী। বিভিন্ন ধরণের কম্বিনেশন তৈরি করতে হলে আমাদের কি অবস্থায় থাকতে হবে সেই প্রস্তুতিটা নিতে পারি।’আগামী ৩ মে থেকে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। একই মাঠে বাকি দুই ম্যাচ হবে ৫ ও ৭ মে। এরপর মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচ হবে ১০ ও ১২ মে।