নিজের সময়ে বিশ্বের অন্যতম সেরা পেসার ছিলেন ওয়াসিম আকরাম। বাঁহাতি পেসারদের নাম নিলে সব সময়ের সেরাদের কাতারেও এখনো সবার আগে আসে পাকিস্তানি এই কিংবদন্তির নাম। তবে ওয়াসিমের মনে হচ্ছে বর্তমান সময়ে খেললে ব্যাটারদের হাত থেকে তারও নিস্তার হতো না। রান বন্যার আইপিএলের সময়ে বোলারদের প্রতি তীব্র সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন তিনি।এবার আইপিএলে দুইশো রান করা যেন হয়ে গেছে সাধারণ ব্যাপার। দুইশোর বেশি রান তাড়াও যেন সহজ ব্যাপার। সানরাইজার্স হায়দরবাদের সৌজন্য তিনবার দেখা গেছে আড়াইশ ছাড়ানো পুঁজি। সানরাইজার্স এমনকি তিনশোর সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলো। ২৭৭ করার পর ২৮৭ করে আইপিএল রেকর্ড ভাঙে পর পর দুবার। ২৬৬ করে আরেক ম্যাচে।এসব রান দেখে ভারতীয় পোর্টার স্পোর্টসকিডার সঙ্গে আলাপে ওয়াসিম এই সময়ে খেলতে না হওয়া কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে দেন প্রতিক্রিয়া, ‘সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ, আমি এই যুগে ক্রিকেট খেলি না। ২০ ওভারে ২৭০ রান করে ফেলছে। মানে ৫০ ওভারে এটা ৪৫০ অথবা ৫০০ রান। এটা যদি একবার হতো ঠিকাছে। এটা তিন-চারবার হয়ে যাচ্ছে। এটা বোঝাচ্ছে ব্যাটিং কতটা শক্ত।’দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে পাওয়ার প্লেতে ১২৫ রান তুলে বিশ্ব রেকর্ড গড়ে সানরাইজার্সই। এই পথে ৫ ওভারেই তাড়া ছাড়িয়ে যায় তিন অঙ্কের ঘর। ওয়াসিম কোনভাবেই হজম করতে পারছেন না এত রান, ‘৫ ওভারে ১০০ রান করাটা অবৈধ (হাসি) ব্যাপার। কীভাবে এটা হয়? এমনকি আপনি যদি ফুলটস বল করেন তাহলেও তো এটা কঠিন। বোলারদের জন্য ব্যাপারটা হচ্ছে টাকা নাও আর ধ্বংস হয়ে যাও। এই সংস্করণে আমি বোলারদের কষ্ট অনুভব করছি।’ট্রেভিস হেড, অভিষেক শর্মার মতন দুজন বিস্ফোরক ওপেনার। এরপর আছেন এইডেন মার্কারাম, হেনরিক ক্লাসের মতন বিস্ফোরক ব্যাটার। নিতিশ রেড্ডি, আব্দুল সামাদ নিয়ে পুরো ব্যাটিং লাইন বোলারদের পিলে চমকে দেওয়ার মতন। এমন ব্যাটিং লাইনআপ দুনিয়ার আর কোন ফ্র্যাঞ্চাইজির আছে বলে মনে হয় না তার, ‘আমার মনে হয় না (সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মতন বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইনআপ দুনিয়ার কোন ফ্র্যাঞ্চাইজির আছে)।’হেনরিক ক্লাসেন আমার প্রিয় একজন খেলোয়াড় যদি আপনি সাদা বলের ক্রিকেটের কথা বলেন। তার ছক্কা পেটানোর ক্ষমতা অবিশ্বাস্য। ফিনিশার হিসেবে আব্দুল সামাদ ভালো করছে। প্যাট কামিন্সের নেতৃত্ব দলে একটা স্থিতি এনেছে।’