৫৭ রানে ৫ উইকেট ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর)।সেখান থেকে ভ্যানকাতিশ আয়ারের ৭০ আর মনিশ পান্ডের ৪২ রানের ইনিংসে উপর ভর করে ১৬৯ রানের পুঁজি পায় কলকাতা। রানবন্যার আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে এই অল্প রানের পুঁজিতে আটকেট দেওয়া যাবে এটা হয়তো অনেক ভাবেননি।কিন্তু আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামের ক্রিকেটার মিচেল স্টার্কের বোলিং তোপে তা সম্ভব করেছে কলকাতা। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে মুম্বাইকে ১৪৫ রানেই গুটিয়ে দিয়েছে কেকেআর। এতে কলকাতা জয় পেয়েছে ২৪ রানে।সর্বেশেষ ২০১২ সালে মুম্বাইয়ের ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে জয় পেয়েছিল কলকাতা। ১২ বছর পর প্রায় অচেনা হয়ে যাওয়া সেই জয়ের দেখা পেলো শাহরুখ খানের দল।এই ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫৭ রানে ৫ উইকেট হারায় কলকাতা। দলের জন্য বলতে গেলে কিছুই করতে পারেননি ফিল সল্ট (৫), সুনিল নারিন (৮), এনক্রিশ রাঘুভানশি (১৩), শ্রেয়াস আয়ার (৬) ও রিংকু সিং (৯)।দ্রুত ৫ ব্যাটারকে হারিয়ে রীতিমতো চাপের মুখে পড়ে কলকাতা। এরপর ষষ্ঠ উইকেটে ৮৩ রানের জুটি করেন ভ্যানকাতিশ আয়ার ও মনিশ পান্ডে। ৩১ বলে ৪২ রান করে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে বদলি খেলোয়াড় ডি ব্রেভিসের হাতে ক্যাচ হন তিনি।
পান্ডে আউট হয়ে গেলেও ভ্যানকাতিশ হাঁকান দারুণ একটি ফিফটি। জাসপ্রিত বুমরাহের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৫২ বলে ৭০ রান করেন তিনি। এই দুই ইনিংসের উপর ভর করে ১ বল বাকি থাকতেই ১৬৯ রানে অলআউট হয়ে যায় কলকাতা।জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে মুম্বাই। ৭১ রানে ৬ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। সপ্তম উইকেট ৪৯ রানের জুটি করেন সূর্যকুমার যাদব ও টিম ডেভিড। ফিফটি (৩৫ বলে ৫৬) করার পর আন্দ্রে রাসেলের বলে সল্টের হাতে ক্যাচ হন সূর্য। আর টিম ডেভিডকে স্টার্ক থামিয়ে দেন ২৪ রানে। এতে ৭ বল আগেই ১৪৫ রানে অলআউট হয়ে যায় মুম্বাই।
কলকাতার হয়ে ৩৩ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন মিচেল স্টার্ক। আর মুম্বাইয়ের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন নুয়ান থুসারা ও জাসপ্রিত বুমরাহ।