ইবি ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, ‘সাংগঠনিক একটি পরিচয় পাওয়া প্রতিটি কর্মীর জন্য একটি গর্বের বিষয়। সকল ষড়যন্ত্র ভেঙে দীর্ঘ আট বছর পরে যে ইবি শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা একটি পরিচয় পেয়েছে, এতে কর্মীদের চেয়ে আমরাই বেশি খুশি।’
আট বছরের অপেক্ষা শেষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের ১৯৯ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত শুক্রবারের এক বিজ্ঞপ্তিতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার কথা জানানো হয়।
২০২২ সালের ৩১ জুলাই ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতকে সভাপতি ও নাসিম আহমেদ জয়কে সাধারণ সম্পাদক করে ইবি শাখা ছাত্রলীগের ২৪ সদস্যের আংশিক কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। আংশিক কমিটি গঠনের এক বছর ১০ মাস পর এসে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করল ইবি শাখা ছাত্রলীগ।
আংশিক কমিটি ঘোষণার এক বছরের মাথায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য জীবনবৃত্তান্ত আহ্বান করা হলেও গত এক বছরে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা সম্ভব হয়নি।
এর আগে ২০১৬ সালে সর্বশেষ ১২১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেয়েছিলো ইবি শাখা ছাত্রলীগ।
পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ১৭৫ জনকে নতুন করে স্থান দেয়া হয়েছে।
বিষয়টি রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিশ্চিত করেন ইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত। কমিটিতে সহসভাপতি পদে তন্ময় সাহা টনি, মো. আল মামুন, নাইমুল ইসলাম জয়, বনি আমিন, মৃদুল হাসান রাব্বি, সোহানুর রহমান সিদ্দিকীসহ মোট ৭১ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে মুজাহিদুল ইসলাম, হুসাইন মজুমদার, মেহেদী হাসান হাফিজ, শাহিন আলম, তরিকুল ইসলাম তরুণসহ মোট ১১ জন, সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে মো. জাকির হোসেন, সোহাগ শেখ, মেজবাহুল ইসলামসহ মোট ১১ জনকে নিযুক্ত করা হয়েছে।
নতুন কমিটির দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন কামাল হোসেন। উপদপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আরও দুজন। প্রচার সম্পাদক হিসেবে আছেন নাবিল হাসান ইমন এবং উপ-প্রচার সম্পাদক পদে আরও দুজন রয়েছেন।
বিভিন্ন সম্পাদকীয় ও উপসম্পাদকীয় পদে ৭৬ জন কর্মীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও পূর্ণাঙ্গ কমিটির সহসম্পাদক হিসেবে ১৫ জন এবং সদস্য হিসেবে আছেন সাতজন।
এ বিষয়ে ইবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, ‘দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন পেয়েছে। আমরা ইবি শাখা ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতা-কর্মী অন্তরের অন্তস্থল থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সংগ্রামী সভাপতি সাদ্দাম ভাই এবং বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক ইনান ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
‘আগামী দিনগুলোতে ইবি শাখা ছাত্রলীগ কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী আরও সুন্দর ও স্পৃহা নিয়ে কাজ করবে বলে প্রত্যাশা করছি।’
ইবি ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, ‘সাংগঠনিক একটি পরিচয় পাওয়া প্রতিটি কর্মীর জন্য একটি গর্বের বিষয়। সকল ষড়যন্ত্র ভেঙে দীর্ঘ আট বছর পরে যে ইবি শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা একটি পরিচয় পেয়েছে, এতে কর্মীদের চেয়ে আমরাই বেশি খুশি।’