1. sajujournalist123@gmail.com : Selim Mahmud : Selim Mahmud
  2. admin@ganomaddhom.com : nvl5d :
  3. salemo1834949@gmail.com : Selim Mahmud : Selim Mahmud
দেশে মাদকের জিরো টলারেন্স থাকা সত্ত্বেও বাড়ছে মাদক পাচার, বিক্রি,ও সেবন - নারায়ণগঞ্জ আপডেট
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
বন্দরে বিভিন্ন ওয়ারেন্ট গ্রেপ্তার-৩ বন্দরে যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে ইয়াবাসহ মাদক কারবারি মনির গ্রেপ্তার র‍্যাব-১১ কর্তৃক বন্দরে সোহান হত্যা মামলার প্রধান আসামি কাজলকে মুন্সিগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্ত্রী হত্যার দায়ে এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড শেখ হাসিনাসহ শেখ পরিবারের ১০ সদস্যের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ‘লক’ সোনারগাঁয়ে ‘শেখ হাসিনা আসবে স্লোগানে ঝটিকা মিছিল জনগণের মধ্যে যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে তা অবশ্যই পূরণ করতে হবে এটা আমাদের অঙ্গীকার : নাহিদ নারায়ণগঞ্জে সংস্কারের পর নির্বাচনের দাবিতে মার্চ ফর ড. ইউনূস কর্মসূচি পালিত গাজায় ইসরাইলী গনহত্যায় ফিলিস্তিনি শহীদদের স্বরনে বন্দরে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত কর্মী ছাড়া নেতাদের দুই পয়সা মূল্য নেই : ফরিদ

দেশে মাদকের জিরো টলারেন্স থাকা সত্ত্বেও বাড়ছে মাদক পাচার, বিক্রি,ও সেবন

নারায়ণগঞ্জ আপডেট
  • Update Time : সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪
  • ৩৮৩ Time View

জিরো টলারেন্স নিয়ে দেশে মাদক বিরোধী অভিযান চলমান থাকা সত্ত্বেও মাদক পাচার, বিক্রি, সেবন বাড়ছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। আকাশ, নৌ ও স্থল পথে অনেকটা ফ্রি স্টাইলে ঢুকছে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক। প্রতি বছরই হাজার কোটি টাকার বেশি মাদকদ্রব্য উদ্ধার করছে পুলিশ, র‍্যাব, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, বিজিবি, কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারপরও মাদকের পাচার বন্ধ হচ্ছে না। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অ্যাম্বুলেন্সে খালি অক্সিজেন সিলিন্ডারের ভেতর থেকে ৬০ হাজার পিস ইয়াবাসহ একজনকে আটক করেছে সোনারগাঁ থানা পুলিশ। উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক বাজার মূল্য ২ কোটি টাকা। রোববার বেলা ৩টার দিকে উপজেলার মেঘনা টোল প্লাজা সংলগ্ন চেকপোস্ট এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত অ্যাম্বুলেন্সটি জব্দ করা হয়। আটককৃত ড্রাইভার মো. ইসহাক (২৪) টেকনাফ এলাকার উত্তর নীলা আমতলী এলাকার বাসিন্দা মো. কামাল হোসেনের ছেলে। অ্যাম্বুলেন্সে কোন রোগী ছিল না। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে চেক পোস্ট বসিয়ে চালক ইসহাককে গ্রেফতার করা হয়। কক্সবাজার থেকে ঢাকায় প্রবেশের দুটি পথ রয়েছে। একটা হলো সোনাগাঁও দিয়ে, আরেকটি হলো কাঞ্চন ব্রিজ দিয়ে। প্রতিদিন এভাবে কোটি কোটি টাকার ইয়াবা স্থল পথে বাসে, কাভার্ডভ্যান, ট্রাকে করে দেশে আসছে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা প্রতিনিয়ত বলছেন, মাদকের ব্যাপারে কোন ছাড় নেই। তারপরও বিনা বাধায় মাদক আসছে। এর সঙ্গে অনেকেই জড়িত। কোটিপতি হওয়ার সহজ পথ যে এটি। অভিযোগ রয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক ছোটখাট অফিসার টেকনাফ ও পার্বত্যাঞ্চলে পোস্টিং নেন কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে। কারণ ওই টাকা তার তুলতে বেশি দিন লাগে না। অপরাধ বিশেষজ্ঞদের মতে, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যর্থ। সারাদেশে কোমলমতি ছেলেরা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। স্কুল বাদ দিয়ে তারা মাদক ব্যবসা করছে। এক সময় যারা বেকার ঘুরে বেড়াতো, পূর্ব পুরুষের কিছুই ছিল না, তারা এখন এক একজন দামি ৪/৫টি গাড়ি ব্যবহার করেন। মাদকের টাকায় কেউ কেউ জনপ্রতিনিধিও হয়েছেন। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও রাজনৈতিক নেতাদের অনেকেই মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন। দলীয় বিষয় নিয়ে মতপার্থক্য থাকলেও মাদকের ব্যাপারে সবাই যেন ভাই ভাই। এর সঙ্গে জড়িত বড় বড় অনেক নেতা। সাবেক এমপি, শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাও এই তালিকায় রয়েছে।মাদকের টাকার ভাগ অনেকেই পান। অনেকেই নামে করেন সরকারি দল, আসলে তারা দলের কেউ না। করেন ইয়াবা ব্যবসা। প্রতি এলাকায় এক শ্রেণীর নেতারা এটাকে ব্যবসা হিসেবে নিয়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ছেলেরা ফেল করে কেন, কিশোর গ্যাং কেন নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না- এমন প্রশ্ন তুলেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাদক বহন করে কিশোর গ্যাং। তাদের মোটরসাইকেল ও অস্ত্র আছে। তরুণ সমাজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে মাদক। মাদকের সাথে যারা থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এক সময় থাইল্যান্ডে এমন অবস্থা ছিল। হাটে-বাজারে ছিল মাদকের ছড়াছড়ি। তখন থাইল্যান্ডের রাজা ২০ পিসের নিচে কারো কাছে ইয়াবা পাওয়া গেলে যাবজ্জীবন এবং ২০ পিসের বেশি থাকলে ‘ক্রশফায়ার দিতে’ শুরু করেন। মাত্র এক মাসে ৫ শতাধিক লোক মারা গিয়েছিল। এখন থাইল্যান্ডে মাদক সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। এই ধরনের ব্যবস্থা না নিলে বাংলাদেশে মাদক নিয়ন্ত্রণে আসবে না- এমনটি মনে করেন অনেকেই। কক্সবাজারের সাবেক একজন সংসদ সদস্যসহ এক ডজন মাদকের গডফাদার রয়েছেন। এ কারণে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। নাফ নদীর ওপারে রয়েছে ইয়াবার কারখানা। সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হচ্ছে, কিন্তু ইয়াবা কারখানা অক্ষত রয়েছে, ইয়াবা তৈরিও হচ্ছে। প্রতিদিনই আসছে ইয়াবা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মো. ইসহাক স্বীকার করেছেন যে, এর পূর্বেও সে এই পদ্ধতিতে একাধিকবার মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিল। আটককৃত আসামির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন। নারায়ণগঞ্জের এসপি গোলাম মোস্তফা রাসেল গণমাধ্যমকে বলেন, তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় দুই পথে মাদক আসে। সব জায়গায় চেকপোস্ট রয়েছে।পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন গণমাধ্যমকে বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতিতে আছি। আমাদের কার্যক্রম আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। কাউকে ছাড় দিচ্ছি না। আমরা বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। এতো বড় সীমান্ত, সেখান থেকে ঢোকে। নদীতে শত শত ট্রলার থাকে। আমাদের পক্ষ থেকে যা করা দরকার করে যাচ্ছি।র‍্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি শতভাগ বাস্তবায়ন করতেই হবে। নইলে সমাজ রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে। নৌপথ, স্থল পথ ও আকাশ পথে ব্যাপক হারে আসছে মাদক। মাদক দেশের আনাচে-কানাচে ব্যবহার হচ্ছে। উঠতি বয়সীরাই বেশি ব্যবহার করছে। এর বিরুদ্ধে অল আউট প্রচেষ্টা চালাতে হবে। একটিমাত্র সংস্থার পক্ষে এটা সম্ভব না। সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। আইনের প্রয়োগ সঠিকভাবে হতে হবে। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

আরও সংবাদ

আজকের দিন-তারিখ

  • মঙ্গলবার (রাত ১:৫৮)
  • ২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
  • ৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)
©২০২৩ সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত নারায়ণগঞ্জ আপডেট
Developed BY RIAZUL